জমজমাট নানা পর্বে জাতীয় ইলিশ উৎসবের চতুর্থ দিনে ব্যাপক দর্শক সমাগম
গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চতুরঙ্গের ১৪তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের চতুর্থ দিনে জমজমাট নানা পর্বে ব্যাপক দর্শক সমাগম ঘটে। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সেরা নাচিয়ে প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় প্রথম হন দোলা দাস দেওয়ান, দ্বিতীয় হন রুবাইয়া তাসনীম রুবা ও তৃতীয় হন সোহানা। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় ‘জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণের মৌসুমে সকল মাছ ধরার নৌকা প্রশাসনের হেফাজতে রাখা জরুরি’ বিষয়ক মুক্ত ভাবনা।
এরপর শুভ দাসের পরিচালনায় লক্ষ্মীপুরের লতিকা নৃত্যালয় নৃত্যানুষ্ঠান এবং বিশ্বনাথ দাসের পরিচালনায় উদয়ন সঙ্গীত বিদ্যালয় জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। তারপর ছিলো গোলটেবিল বৈঠক। জাতীয় ইলিশ উৎসবের সচিব ও শাহরাস্তি পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রোটারিয়ান তোফায়েল আহাম্মদ শেখের সভাপ্রধানে ও চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব হারুন আল রশীদের উপস্থাপনায় আলোচনায় অংশ নেন ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত আবৃত্তিকার শাওলী রায়, ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিক এবং ত্রিপুরার স্যন্দন পত্রিকা ও স্যন্দন টেলিভিশনের পরিচালক অরিন্দম দে। উপস্থিত ছিলেন চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বিনয় ভূষণ মজুমদার ও জাতীয় ইলিশ উৎসবের আহ্বায়ক কাজী শাহাদাত। এ বৈঠকের শুরুতে ত্রিপুরা থেকে আগত তিন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে জাতীয় ইলিশ উৎসবের পক্ষ থেকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। আর ইলিশ উৎসবের রূপকার হারুন আল রশীদ এবং তার স্ত্রী সাধনা সরকারকে সম্মাননা জ্ঞাপন করে স্যন্দন পত্রিকা ও স্যন্দন টিভির পক্ষে পরিচালক অরিন্দম দে।
বৈঠক শেষে শাওলি রায়ের মনোমুগ্ধকর আবৃত্তির পরপরই শিপ্রা মজুমদারের পরিচালনায় অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক সংগঠন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। এরপর রং-এর ঢোল বাংলা ব্যান্ড সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।