• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলবের দিঘলদীতে বেহাল সড়ক ॥ জনভোগান্তি চরমে

প্রকাশ:  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব দক্ষিণ পৌরসভার দিঘলদীতে দুই পাশের সংযোগ সড়কটি কয়েক বছর ধরে ভেঙে খাদে পড়ে আছে। উধাও হয়ে গেছে সড়কের ইটগুলোও। ইটের সড়কটি এখন কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। যে কারণে গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে সড়কের ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। এতে প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিতে আসা রোগী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীর। 
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৯৬২ সালের প্রতিষ্ঠিত দিঘলদী ইসলামিয়া জাফরিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ১৯৬৮ সালে দিঘলদী সরকারি জাফরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। তার পাশেই রয়েছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এ সকল প্রতিষ্ঠানের কারণেই জনসাধারণের কাছে দিঘলদী গ্রাম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, এক কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এই সড়কে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। সড়কটির জায়গায় জায়গায় ইট উঠে গেছে। আবার কিছু অংশ কাঁচা হওয়ায় কেউ অসুস্থ হলে অনেক কষ্ট করে তাকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিতে হয়। 
এই সড়কের আশপাশের ৬ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। এসব গ্রামের মধ্যে আছে পিংড়া, নলুয়া, বহরি, পূর্ব বিষ্ণপুর, আমানউল্লাহপুর ও ধনপদ্দি। এসব গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা দক্ষিণ পূর্ব দিঘলদী স্কুল-মাদ্রাসায় আসতে হয় এই সড়কে। শিক্ষার্থীরা জানান, এই সড়কে অটো ও সিএনজি চলাচল করে না। তাই আমাদের প্রতিদিন হেঁটে হেঁটেই মাদ্রাসায় আসতে হয়। আমরা চাই আমাদের মাদ্রাসায় আসার পথটি খুব দ্রুত পাকা সড়কে পরিণত হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মহসিন প্রধানিয়া বলেন, এই সড়ক পাকা করা এখন সময়ের দাবি। সড়কটি পরিদর্শন করেছেন মতলব দক্ষিণ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ আবদুল হাই বাকাউল। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। অপেক্ষায় আছি। এ সড়কটি দ্রুত হলে হাজারো মানুষের কষ্ট লাগব হবে।
মোক্তার হোসেন বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটেও চলাচল করা যায় না। শুকনো মৌসুমেও ভোগান্তির শেষ নেই।
আরেক বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা। আমাদের এলাকার মেয়েদের ভালো জায়গায় বিয়ে হচ্ছে না সড়কের কারণে। আমাদের এখানে কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে না। সড়কটির জন্য আমাদের কষ্টের শেষ নেই।
দিঘলদী সরকারি জাফরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন সুলতানা জানান, আমাদের মাস্টার বাজার থেকে প্রতিদিন হেঁটে হেঁটেই স্কুলে আসতে হয়। এ সড়কটি মেরামত না হওয়ায় অটোরিকশা বা সিএনজি চলাচল করে না। এখানে স্কুল মাদ্রাসা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানের কারণে যে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
দিঘলদী ইসলামিয়া জাফরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওঃ খলিলুর রহমান মোল্লা জানান, আমাদের মাদ্রাসায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিক্ষার্থীরা আসে। এ মাদ্রাসাটি অনেক পুরনো। সড়কটি সংস্কার কাজ হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতো।
মতলব দক্ষিণ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ আবদুল হাই বাকাউলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মুন্সিরহাট থেকে দক্ষিণ পূর্ব দিঘলদী জাফরিয়া হয়ে মাস্টার বাজার পর্যন্ত সড়কের ২ কোটি টাকা কাজের বরাদ্দ দিয়েছি। এছাড়া রাজারগাঁও সড়কের এয়ারপোর্ট হতে জাফরিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত  ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১০ ফিট পাস করে সড়ক নির্মাণের বরাদ্দ হয়েছে।  

সর্বাধিক পঠিত