• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রাজনৈতিক ভাবনা-১২

এখন দেখি রাজনীতি একটা সফল ব্যবসা যার জন্য পুঁজি লাগে না :মোঃ মিজানুর রহমান

প্রকাশ:  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, ক্রীড়াবিদ, সংগঠক ও সফল ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি ১৯৬৭ সালে ১৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মতলব উত্তর উপজেলার বাসিন্দা। ১৯৮৪ সালে খুলনা পলিটেকনিক কলেজ থেকে ছাত্রলীগের সাধারণ সদস্য হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন মোঃ মিজানুর রহমান। খুলনা পলিটেকনিক কলেজে তার রাজনীতি স্থায়িত্ব ছিলো ৩/৪ মাস। তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত খুলনা হাজী মহসিন মহাবিদ্যালয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকা-ে অংশ নেন। এ সময় তিনি খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।
মোঃ মিজানুর রহমান ১৯৯৫-২০০১ সাল পর্যন্ত মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার নেতৃত্বে মতলবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সার্বক্ষণিক যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০০১-২০০৪ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের মতলব উত্তর উপজেলা শাখা আহ্বায়ক এবং ২০০৪ সাল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৯-২০১৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দলীয় কর্মকা-ে অংশগ্রহণসহ নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর রাখছেন।
সম্প্রতি মোঃ মিজানুর রহমান দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ‘রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলাপচারিতা অংশ নেন। সাক্ষাৎকারটি আজ প্রকাশিত হলো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে যে কোনো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন কিসের নিরিখে হয়? এজন্যে কী কী করতে হয়?
মোঃ মিজানুর রহমান : প্রার্থীর যোগ্যতা, দলীয় আনুগত্য ও জনপ্রিয়তায়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : স্থানীয় পর্যায়ে নিজ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কী কী কারণে হয় বলে আপনার ধারণা? এ কোন্দল নিরসনে জেলা পর্যায় বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতার সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণের হুঙ্কার সাধারণত দ্রুত উচ্চারিত হয় না। এটার কারণ কী?
মোঃ মিজানুর রহমান : কোন্দল বলার চেয়ে প্রতিযোগিতা বলা ভালো। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল, প্রতিটি সংসদীয় আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকে তাই কিছুটা দলাদলি থাকে। জেলা বা কেন্দ্রীয় হুমকি কেন হবে ? সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন মেনে চলার জন্য সকলকে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়। দেরী হওয়ার কারণ যেহেতু ব্যাপারটা স্পর্শকাতর, তাই জেলা থেকে কেন্দ্র বিস্তারিত রিপোর্ট পাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। রিপোর্ট পাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এখানে যদি প্রক্রিয়ায় নীতিহীন নেতারা থাকে তাহলে ধরেন ৩ বছরের কমিটি ১৭/১৮ বছরও থাকতে পারবে। অতএব, দ্রুত কোনো কিছুই হবে না।
চাঁদপুর কণ্ঠ : দলের তৃণমূলের বর্ধিত সভায় কিংবা বর্ধিত সাধারণ সভায় খোলামেলা অনেক কথা হয়। অনেক তিক্ত সত্য কথা উচ্চারিত হয়। এগুলো কি আদৌ আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়?
মোঃ মিজানুর রহমান : আমি মনে করি, তৃণমূলের মতামত গুরুত্ব দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তৃণমূলই দলের প্রাণশক্তি। এভাবে হলে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং দলের সমৃদ্ধি হবে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : রাজনীতিতে আদর্শের চর্চা ও দলীয় গঠনতন্ত্র যথাযথভাবে মেনে চলার গুরুত্ব কতোটুকু? আপনি কি মনে করেন আপনার দলে উক্ত চর্চা ও মেনে চলার কাজটা যথাযথভাবে হচ্ছে?
মোঃ মিজানুর রহমান : রাজনীতিতে আদর্শের চর্চা ও দলীয় গঠনতন্ত্র যথাযথভাবে মেনে চলার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপারটা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। নেতারা মুখে বলে একটা করে আরেকটা। নিজ স্বার্থরক্ষায় প্রয়োজনে নৌকা ডুবাবে। একবার ভাবে না সকল দলের নেতারা এখন টাকায় বিক্রি হয়। একমাত্র নেত্রী যিনি বাংলাদেশের দলমত নির্বিশেষে সকলের নিকট সততার প্রতীক আমার প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর দিকে তাকিয়েই এখনও রাজনীতি করি। তা নাহলে বর্তমান অসৎ, নীতিহীন, স্বার্থপর নেতাদের সাথে রাজনীতি করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না। রাজনীতি জনগণের খেদমতের জন্য সারাজীবন তাই করেছি, এখন দেখি রাজনীতি একটা সফল ব্যবসা যার জন্য পুঁজি লাগে না। শুধু জানতে হয় মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া আর মিথ্যা বক্তৃতা দেয়া।