যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পেটালেন ইমাম
মতলব উত্তর উপজেলায় ২ লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন এক মসজিদের ইমাম। ইমামের নাম মুফতি মোহাম্মদ ইয়াছিন। তিনি ছেংগারচর পৌরসভার আদুরভিটি গ্রামের জহিরুল ইসলাম সরকারের ছেলে। ছোট মরাদোন জিলানীয়া জামে মসজিদের ইমাম তিনি।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় সাদিয়া আক্তার (২০)কে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, ইমাম মুফতি মোহাম্মদ ইয়াছিন সাড়ে পাঁচানী গ্রামের খায়রুল হাসান মুফতীর মেয়েকে বিয়ে করেন। ইমামতি পেশার সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ওয়াজ মাহফিল করেন তিনি।
সাদিয়া আক্তারের বাবা খায়রুল হাসান মুফতী বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ইমাম মুফতি মোহাম্মদ ইয়াছিন দোকানপাট ও ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্য ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু খায়রুল হাসান মুফতী এতো টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শ^শুরবাড়িতেই মারধর করেন মুফতি মোহাম্মদ ইয়াছিন। তাদের সংসারে ইকরা নামে ২ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
খায়রুল হাসান মুফতী বলেন, মেয়ের জামাই প্রায়ই আমার কাছে মোটরসাইকেলসহ সংসারের আসবাবপত্র কিনে দিতে বলে। আমি তার দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রাখে। হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষি মেরে মুখম-ল ও শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত নীলা ফুলা জখম করে। আহত সাদিয়া আক্তারের চিৎকারে সাক্ষী ও আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মুফতি মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, যৌতুকের জন্য মারধর করা হয়নি। আমার স্ত্রীকে পর্দা করার জন্য কয়েক দফা বলেছি। কিন্তু তিনি বেপর্দা চলাফেরা করেন, তাই শাসন করেছি।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, মারধরের অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।