চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ পাঁচজনের মনোনয়ন বাতিল
আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ছিলো গতকাল রোববার। বাছাইতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ ইউসুফ গাজীসহ পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। অপর চারজন হচ্ছেন সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী। জেলা প্রশাসক ও এ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোঃ ইউসুফ গাজী চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এছাড়া বাতিল হওয়া অপর চারজন হচ্ছে সাধারণ সদস্য পদে ৩ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একজন। এরা হচ্ছেন-সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে মারজানা খানম, সাধারণ ৪নং ওয়ার্ডে ফরহাদ হোসেন ও মোঃ বাদল ফরাজী এবং ৮নং ওয়ার্ডে তুহিন খান। চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জামশেদুর রহমান জানান, মামলা সংক্রান্ত ও আদালতের দ-প্রাপ্ত হওয়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ইউসুফ গাজীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউসুফ গাজী এই বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানা গেছে।
১৫ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান পদে ৬জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৯ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
যাচাই-বাছাইয়ের পর চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।
চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র বৈধ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন : জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটোয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী কচুয়ার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন মাহমুদ ও হাজীগঞ্জের জাকির হোসেন প্রধানীয়া।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হবে ১৭ অক্টোবর। ভোট হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। মোট ভোটার ১২৭৩ জন। ভোট কেন্দ্র ৮টি। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ভোটকেন্দ্র থাকবে।