• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের অগ্রগতি ও অর্জন অবহিতকরণ বিষয়ে কর্মশালা

প্রকল্প বাস্তবায়নে চাঁদপুর জেলা অন্য জেলার তুলনায় এগিয়ে :জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান

প্রকাশ:  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩)-এর অগ্রগতি ও অর্জন অবহিতকরণ  বিষয়ে জেলা পর্যায়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও প্যায়াক্ট বাংলাদেশের সহযোগিতায় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপ্রধানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, এলজিএসপির প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যেসব ইউনিয়ন ভালো দক্ষতা অর্জন করেছে তারাই সফল হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চাঁদপুর জেলা অন্য জেলার তুলনায় এগিয়ে। এই উদ্যোগের কারণে গ্রামাঞ্চলে অনেক উন্নয়ন কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। বিশেষ করে প্রকল্পে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হয়েছেন। এর ফলে তাদের জন্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সহজ হচ্ছে।
কর্মশালার শুরুতে এলজিএসপি-৩ সম্পর্কে বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্যায়াক্ট বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোঃ শামছুদ্দিন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এলজিএসপি-৩-এর কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং টেকসইকরণের কৌশলের ওপর দলীয় আলোচনা ৪টি ভাগে সম্পন্ন হয়। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বরাদ্দের সুষম বণ্টন নিশ্চিতকরণে ভবিষ্যৎ করণীয় (পদ্মা দল), এলজিএসপি-৩-এর অর্জনসমূহ টেকসই ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে ভবিষ্যৎ করণীয় (মেঘনা দল), প্রকল্পের অর্জনসমূহ টেকসই ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে চ্যালেঞ্জসমূহ (যমুনা দল) এবং নারীর ক্ষমতায়নে প্রকল্পের অর্জন সম্পর্কে (ব্রহ্মপুত্র দল) ৩০ মিনিটের মধ্য গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরে। এসব মতামত ও পরামর্শ পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, এলজিএসপি-৩ প্রকল্প ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারিতে শুরু হয় এবং ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। চাঁদপুর জেলায় ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৫শ’ ২০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
দিনব্যাপী কর্মশালায় জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ অংশ নেন। কর্মশালায় পরিকল্পনা, বাজেট এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যে প্রশিক্ষণ, প্রকল্পের স্কিম বাস্তবায়নে পরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিপালন, উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও স্কিম নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, ইউনিয়ন পরিষদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সুশাসনের পথে অগ্রসর, বিভিন্ন মেয়াদী পরিকল্পনা, বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন, উন্নয়ন প্রকল্পে/স্কিম নির্বাচন, বাস্তবায়ন ও তদারকিতে জনঅংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি সামগ্রিকভাবে স্বল্প ব্যয়ে দ্রুততম সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে সেবা প্রদানে স্বচ্ছতার একটি অনুকূল পরিবেশ প্রস্তুতের বিষয়টি উঠে আসে। কর্মশালায় প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।

সর্বাধিক পঠিত