নায়েরগাঁও বাজারে পাঁচ দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
স্বর্ণালঙ্কার নগদ অর্থ ও মোবাইল সেট লুট
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও বাজারে গত সোমবার গভীর রাতে চার জুয়েলারি দোকানসহ পাঁচ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি সংঘটিত হয়। এতে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সেটসহ প্রায় ২৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ১৫-১৬ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতের দল।
বাজারের ব্যবসায়ী ও পুলিশ জানায়, গত সোমবার দিবাগত রাত দুইটার পরে ১৫-১৬ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল নদীপথে ট্রলারযোগে নায়েরগাঁও বাজারে প্রবেশ করে। ডাকাতরা বাজারটির আট নৈশ প্রহরীর মধ্যে সাতজন নৈশপ্রহরী ও একজন দর্জিকে একত্রিত করে সেখানকার একটি দোকানের ভেতর হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে শাটার বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা বাজারের রিংকু দাস, নিত্য গোপাল দাস, প্রদীপ চন্দ্র দাস ও কেশব চন্দ্র দাসের স্বর্ণের দোকান এবং পাশের নুর উদ্দিনের মুঠোফোনের দোকানের শাটারের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।
ডাকাতরা রিংকু দাসের দোকান থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৪ লাখ টাকা, নিত্য গোপাল দাসের দোকান থেকে আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৮০ হাজার টাকা, প্রদীপ চন্দ্র দাসের দোকান থেকে ৪ ভরি রূপা ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার, কেশব চন্দ্র দাসের দোকান থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও কয়েক ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং নুর উদ্দিনের দোকান থেকে ২০টি দামী এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট লুট করে আবার তারা নদীপথে চলে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী বলেন, নৈশ প্রহরী আটজনকে ডাকাতদল বেঁধে দোকানের ভিতরে আটকিয়ে ডাকাতি করে। নৈশ প্রহরী আলাউদ্দিন, বিল্লাল হোসেন ও অলি উল্লাহ বলেন, রাত দুইটার দিকে ৩-৪ জন এসে সিগারেট ধরাতে আগুন চায়। পরে ১০-১২ জন আমাদের ঘিরে অস্ত্রের মুখে আমাদের মুখে টেপ লাগিয়ে বেঁধে দোকানের ভেতর রাখে। তারপর শাটার নামিয়ে দেয়।
থানা পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত ভোর রাতে খবর পেয়ে ওই দোকানিরা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি পুলিশকে জানালে ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ইয়াছির আরাফাত ও মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের খোঁজখবর নেন।
বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মাসুদ পাটোয়ারী বলেন, ডাকাতির ঘটনা মোবাইলে শুনে বাজারে আসি। পরে পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করি। এ ঘটনায় থানায় ডাকাতি মামলা হচ্ছে।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, এটি একটি রহস্যজনক ডাকাতি। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ডাকাতির মামলা প্রক্রিয়াধীন।