কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে তুঘলকি কা-ের অভিযোগ ॥ এমপির কমিটি
প্রত্যাখ্যান বিক্ষুব্ধরা প্রতিকার চেয়েছে দলীয় সভানেত্রীর কাছে
কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অধীনস্থ পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে তুঘলকি কা- হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন চৌধুরী সোহাগ। এ দুজনের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগ উপজেলা আওয়ামী লীগের অধীনস্থ ইউনিয়ন কমিটির মর্যাদাসম্পন্ন বিধায় পৌর কমিটির কাউন্সিলের দায়িত্ব মূলত উপজেলা কমিটির কাছে ন্যস্ত। সে অনুযায়ী কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ১২ সেপ্টেম্বর পৌর কমিটির সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছিল। এজন্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছিল। কিন্তু সম্মেলনের নির্ধারিত তারিখের দু’দিন পূর্বেই ১০ সেপ্টেম্বর কচুয়ার সংসদ সদস্য ড. সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর হঠাৎ কিছু ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগকে না জানিয়ে পৌর কমিটির সম্মেলন শুরু করেন এবং ঐ সভা থেকে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র ও দলীয় নির্দেশনা লঙ্ঘন করে নিজের মতো করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত ও বেআইনি হিসেবে ঘোষণা করে এর প্রতিকার চেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবর আবেদন করে। তারা ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের এই সিদ্ধান্ত তথা তাঁর ঘোষিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কচুয়া পৌর কমিটির অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ হচ্ছে উপজেলা কমিটি। উপজেলা কমিটির অনুমোদন কিংবা পরামর্শ ছাড়াই স্থানীয় এমপি পৌর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই ঘটনায় দলের সবাই হতবাক ও বিব্রত হন। এ নিয়ে দলের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ এই বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে দলের সভাপতির কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। অভিযোগটি দলের সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সদস্যদের জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১২ তারিখের পৌর কমিটির সম্মেলন স্থগিত করেছে।’