‘ওনারা কি শেখ হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করলেন?’
চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ ইউসুফ গাজীর প্রথম নির্বাচনী কার্যক্রমে অনুপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাঁদের এই অনুপস্থিতি দলের নেতা-কর্মীদের চোখ কোনোভাবেই এড়ায় নি। সকলের চোখ যেনো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে খুঁজেছে। কিন্তু তাঁরা আসেন নি, তাই নেতা-কর্মীরাও তাঁদের খুঁজে পান নি। তাঁদের এই অনুপস্থিতি দেখে দলের নেতা-কর্মীরা বিস্মিত হয়েছেন। অনেকেই তাঁদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইউসুফ গাজী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে গতকাল ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার মনোনয়ন নিয়ে ইউসুফ গাজী চাঁদপুর আসছেন, নেতা-কর্মীরা এ খবর পেয়ে প্রার্থীকে স্বাগত জানাতে দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিরা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে সমবেত হন। বিকেল সাড়ে চারটায় ইউসুফ গাজী জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সদর উপজেলা ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে আসেন। এসেই তিনি প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রার্থী ইউসুফ গাজীসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। আর এটাই ছিল ইউসুফ গাজী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রথম কোনো কর্মসূচি। দেখা গেছে যে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল এই সমাবেশে আসেন নি। উৎসুক নেতা-কর্মীরা তাঁদেরকে না দেখে নিজেদের মধ্যেই এ নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন এবং বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর প্রথম কোনো কর্মসূচিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত নেই এটা তো মেনে নেয়ার মতো না। তাহলে কি ওনারা ইউসুফ গাজীকে প্রত্যাখ্যান করলেন? আর ইউসুফ গাজীকে প্রত্যাখ্যান করা মানে তো প্রকারান্তরে শেখ হাসিনাকেই প্রত্যাখ্যান করা। ওনারা কি তাহলে শেখ হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করলেন?