• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রাজনৈতিক ভাবনা-৬

তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে কাজ করলে দল গতিশীল হয়ে উঠবে :ইঞ্জিনিয়ার এবিএম পলাশ

প্রকাশ:  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 ইঞ্জিনিয়ার এবিএম পলাশ, স্কুল জীবন থেকেই জাতীয়তাবাদে বিশ^াসী একজন সৈনিক, তখন থেকেই মিছিল মিটিংয়ে তার পদচারণা। ২০০৬ সালে চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্র থাকাকালীন রাজনীতিতে জড়িত হন। তারপর লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের হাত ধরে ২০১২ সালে শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ২০১৩-২০১৪ সালে উপজেলা ছাত্রদলের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ২০২১ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহরাস্তি উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। বর্তমানে উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের রাজনৈতিক ভাবনায় তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। নি¤েœ তা তুলে ধরা হলো : 
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ :  আপনার দৃষ্টিতে যে কোনো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন কিসের নিরিখে হয়? এজন্যে কী কী করতে হয়?
ইঞ্জিনিয়ার এবিএম পলাশ : দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন বোর্ড কর্তৃক সুপারিশকৃত উপজেলার নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে টাকার কাছে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন, ত্যাগী ও পরিশ্রমী ব্যক্তিগণ বাদ পড়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে মনোনয়ন বোর্ডের অনেকে দায়ী থাকেন। বাংলাদেশে নির্বাচনের যোগ্যতা হিসেবে প্রথমে তাঁকে এদেশের নাগরিক হতে হবে। সে যে দল করে তার প্রাথমিক সদস্য পদ থাকতে হবে, খেলাপী ঋণমুক্ত হতে হবে, দলীয় সকল কর্মকা- সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে, দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী সকল  প্রকার কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। 
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : স্থানীয় পর্যায়ে নিজ দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল কী কী কারণে হয় বলে আপনার ধারণা? এ কোন্দল নিরসনে জেলা পর্যায় বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতার সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণের হুঙ্কার সাধারণত দ্রুত উচ্চারিত হয় না। এটার হেতু কী?
ইঞ্জিনিয়ার এবিএম পলাশ : বড় যে কোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকবেই। এটা হয় পদ পদবীর জন্য, না হয় দলীয় বিভিন্ন প্রকার নির্বাচনের জন্য। আমার মতে এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। প্রত্যেকে যার যার দলের আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করে থাকে। তাঁরা শত কষ্টের মাঝেও কখনো দলবিমুখ হয় না। তাই দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থার হেতু দ্রুত উচ্চারিত হয় না।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : দলের তৃণমূলের বর্ধিত সভায় কিংবা সাধারণ বর্ধিত সভায় খোলামেলা অনেক কথা হয়, অনেক তিক্ত সত্য কথা উচ্চারিত হয়। এগুলো কি আদৌ আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়?
ইঞ্জিনিয়ার এবিএম পলাশ : তৃণমূলের বর্ধিত সভায় বা সাধারণ সভায় তৃণমূলের স্থানীয় পর্যায়ের সকল নেতার উপস্থিতি থাকে, তখন সাংগঠনিক সকল আলোচনা-সমালোচনা ও সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং করণীয় কী তা উঠে আসে। কিন্তু তার সকল কিছু আমলে নেয়া হয় না, তাই দলীয় কোন্দল বৃদ্ধি পায়। তবে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমলে নিয়ে কাজ করলে দল আরও গতিশীল এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কারণ তৃণমূলের কর্মীরাই দলের প্রাণ। 
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : রাজনীতিতে আদর্শের চর্চা ও দলীয় গঠনতন্ত্র যথাযথভাবে মেনে চলার গুরুত্ব কতোটুকু? আপনি কি মনে করেন আপনার দলে উক্ত চর্চা ও মেনে চলার কাজটা যথাযথভাবে হচ্ছে?
ইঞ্জিনিয়ার এবিএম পলাশ :  রাজনীতিতে দলীয় আদর্শের চর্চাই হচ্ছে একটা দলের প্রধান কাজ। দলীয় আদর্শ ছাড়া কেউ সংগঠন করতে পারে না। প্রতিটি নেতা-কর্মীই তাঁর নিজ দলের আদর্শ ও গঠনতন্ত্রের কারণেই রাজনীতিতে টিকে আছে। আদর্শ বহির্ভূতভাবে কোনো দল প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। আমি জাতীয়তাবাদে বিশ^াসী একজন ক্ষুদ্র কর্মী। আমি মনে করি, কোটি কোটি তৃণমূলের কর্মীর কারণে আজও টিকে আছে জাতীয়তাবাদী দল। আমি গর্বিত আমার নেত্রীর নামের পাশে আপসহীন ও গণতন্ত্রের যোদ্ধা-এই উপাধিগুলোর কারণে। আমার নেত্রী আজও কারাবন্দী, শুধু অন্যায় ও আদর্শের সাথে আপস না করার জন্য। আমি মনে করি, প্রত্যেক নেতা-কর্মী তাঁর মতো শতভাগ আদর্শ বুকে ধারণ করে চলা প্রয়োজন। 

সর্বাধিক পঠিত