• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের ভাবনা-১০

যারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে তাদেরকে কেউই ব্যবহার করতে পারে না :কাজী হুমায়ূন কবির

প্রকাশ:  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কাজী হুমায়ূন কবির ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বিগত ৩৮ বছর ধরে পত্রিকার সাথে জড়িত তিনি। শাহরাস্তি উপজেলার পত্রিকার এজেন্ট হিসেবে বেশ পরিচিত কাজী হুমায়ূন কবির। লেখালেখি ও সাংবাদিক নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুযুগেরও বেশি সময় ধরে। ১৯৮৪ সালে দৈনিক জনতা দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর কাজ করেছেন দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে। বর্তমানে চাঁদপুর বার্তা ও দৈনিক স্বাধীনমত পত্রিকায় লেখালেখি করছেন। ১৯৯০ সালে তিনি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর বর্তমান সময় পর্যন্ত ৪ বার শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বর্তমানে মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের উপজেলা শাখার সভাপতি। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের ভাবনা শিরোনামে তার দেয়া সাক্ষাৎকার নিচে তুলে ধরা হলো :
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার উপজেলায় সাংবাদিকতা অতীতের সকল সময়ের চেয়ে কি গতিশীলতা পেয়েছে? গতিশীলতা পেলেও কি মান রক্ষা হচ্ছে?
কাজী হুমায়ূন কবির : বিগত দিনের চেয়ে বর্তমানে গতিশীলতা বেড়েছে। উপজেলার ক’জন সাংবাদিকের লেখা জাতীয় পর্যায়ে যারা লেখালেখি করেন তাদের পর্যায়ের। অনেকেই মানসম্মত সংবাদ পরিবেশন করতে পারেন। আবার অনেকেরই লেখার অবস্থান তৈরি হয়নি।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : পত্রিকাগুলোর প্রিন্টিং সংস্করণের পাঠক এবং টিভি সংবাদের শ্রোতা-দর্শক দিনদিন কমছে। কারণ কী? এমনটি রোধের উপায় কী?
কাজী হুমায়ূন কবির :  যত্রতত্র মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করায় পাঠক সমাজ বিরক্তি প্রকাশ করেই পত্রিকা পড়া থেকে নিজেকে আস্তে আস্তে সরিয়ে নিচ্ছে। পত্রিকা পড়ে লাভ কী, যেখানে মিথ্যা সংবাদ বেশি পরিবেশিত হয়। একটি মিথ্যা সংবাদ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ তৈরি হয়। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করলে পত্রিকার পাঠক সংখ্যাও বাড়বে, এলাকার জটিল সমস্যাগুলো সমাধান হবে।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : আজকাল গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বিভিন্ন মহল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করতে চাইছে। অনেকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ব্যবহৃতও হচ্ছে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্য/বিভাজন থেকে এমনটি হচ্ছে। আপনার অভিমত কী?
কাজী হুমায়ূন কবির : যারা সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে তাদেরকে কেউই ব্যবহার করতে পারে না। জেলা ও উপজেলায় বর্তমানে অসংখ্য পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। পত্রিকা কর্তৃপক্ষ সঠিক, সৎ গণমাধ্যম কর্মী নিয়োগ করলে ওই পত্রিকাটি এলাকায় একটি ভালো পত্রিকা হিসেবে চিহ্নিত হয়। সঠিক গণমাধ্যমকর্মী নিয়োগ না দিলে ওই কর্মীরা এলাকায় নানা প্রকার অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে এবং তাদেরকে দিয়ে যে কোনো ধরনের সংবাদ পরিবেশন করা যায়। যারা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তাদের পাঠকপ্রিয়তা থাকে না।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : সংবাদ পরিবেশনে তাৎক্ষণিকতাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনলাইন সাংবাদিকতার জোয়ার। এতে কেউ কেউ অপসাংবাদিকতার সুযোগ বা আশ্রয় নিচ্ছে। সকল সংবাদের ক্ষেত্রে কি তৎক্ষণিকতা জরুরি? আপনার মতামত জানতে চাই।
কাজী হুমায়ূন কবির : তাৎক্ষণিক তথ্য নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করলে সেই সংবাদে ভুল হতে পারে। একটু সময় নিয়ে সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন করে সংবাদ পরিবেশন করলে সংবাদটি সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সব সংবাদে তাৎক্ষণিকতা জরুরি নয়।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : উপরোক্ত প্রশ্ন সমূহের বাইরেও আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে প্রদান করতে পারেন।
কাজী হুমায়ূন কবির : যে কোনো পত্রিকা তথা মিডিয়ার প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ সৎ প্রতিনিধি বাছাই করে নিয়োগ দিলে পত্রিকাটিতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশিত হবে। এতে করে দেশ ও জনগণ উপকৃত হবে।

সর্বাধিক পঠিত