ড. সবুর খান জিইএন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোনীত
আইসিটি এবং শিক্ষা খাতের অন্যতম স্বীকৃত নেতা এবং বাংলাদেশে উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেম বিকাশে সম্মুখ সারির প্রবক্তা ড. মোঃ সবুর খান সম্প্রতি গ্লোবাল এন্টারপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্কের (জিইএন) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। জিইএন হচ্ছে বিশ্বব্যাপী ২০০টি দেশে প্রকল্প ও কর্মসূচি সমূহের বৃহত্তম উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম এবং উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও উদ্যোক্তা সহায়তা সংস্থাগুলোর মধ্যে গভীর আন্তঃ সীমান্ত সহযোগিতা এবং উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে এ সংস্থা বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।
গ্লোবাল এন্টারপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ড. সবুর খানের যোগদান বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভাবান উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, গবেষক, নীতিনির্ধারক এবং উদ্যোক্তা সহায়তা সংস্থাগুলোর জন্য একটি নতুন আশা এবং সুযোগ নিয়ে এসেছে। এখন থেকে ড. সবুর খান সক্রিয়ভাবে জাতীয় প্রতিভাবান উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে বৈশ্বিক নেতা এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে সেতুবন্ধন তৈরিতে বিশেষ অবদান রাখবেন, যা অবশ্যই দেশের জন্য সুযোগকে আরও বেশি অবারিত ও প্রসারিত করবে।
ড. সবুর খান বাংলাদেশ উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি খুব জনপ্রিয় নাম এবং তিনিই প্রথম ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি থাকাকালীন ২০১৩ সালে সৃজনশীল ২০০০ উদ্যোক্তা তৈরির একটি সফল প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি বিজনেস ইনকিউবেটর, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, ডিপার্টমেন্ট অফ ইনোভেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ, নলেজ ভ্যালির মত অনেক প্রাসঙ্গিক প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন, যাতে তরুণ প্রজন্ম ছাত্রাবস্থাতেই উদ্যোক্তাবৃত্তি শিখতে এবং তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর, অন্বেষণ ও বিকাশ ঘটাতে পারে।
ড. সবুর খান শিক্ষার্থীদের জন্যে উদ্যোক্তা উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) চালু করেছেন, যারা বিভিন্ন ভাষায় উদ্যোক্তাবৃত্তির ওপর বেশ কিছু বই লিখেছেন ও প্রকাশ করেছেন। তিনি স্টার্টআপ মার্কেটের মতো অনেক প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তরুণ ও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীকে তাদের পণ্য অন্বেষণ করতে, বিকাশ ঘটাতে এবং স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করার জন্য ঐতিহ্যের হাট, জীবিকা প্রকল্পকে উৎসাহিত করেছেন।
জীবিকা প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি দেড় সহ¯্রাধিক পরিবারকে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেছেন। তিনি ড্যাফোডিল পরিবারে ৫৪ টি সহ-প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, যেখানে পাঁচ সহ¯্রাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং অর্ধ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষাগত নেটওয়ার্কে অধ্যয়ন করছে। তিনি অনেক স্থানীয় নেতৃস্থানীয় সংস্থা এবং সমিতির নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং চমৎকার নেতৃত্বের উদাহরণও তিনি রেখেছেন।
ড. খান জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন। তাঁর উদ্যোক্তা অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ইউরোপীয় এবং এশিয়ান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও উন্নয়ন অঙ্গনে তার প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘সিআইপি’ পদ মর্যাদায় ভূষিত করেন। তিনি আইসিটি শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৯ সালে বিসিএস ডিজিটাল এক্সপোতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে স্বীকৃতি পান। বিভিন্ন সময়ে অসামান্য নেতৃত্ব ও প্রচেষ্টার জন্য তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
এর আগে ড. সবুর খান বাংলাদেশে ‘গেট ইন দ্য রিং’, ‘গ্লোবাল এন্টারপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ’, গ্লোবাল এন্টারপ্রেনিউরশিপ উইক, স্টার্টআপ হাডল ঢাকা এবং আরও অনেক জিইএন প্রচেষ্টার প্রচার ও প্রসার ঘটিয়েছেন এবং জিইএন গ্লোবাল-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে চমৎকার নেতৃত্ব, দূরদর্শী প্রচেষ্টা, অসামান্য অবদানের জন্য অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছেন এবং তারই স্বীকৃতি হিসেবে এই গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে জিইএন-এর প্রতিনিধিত্ব করার জন্যে তাকে এমডি হিসেবে মনোনীত করেছেন।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এর আগে ডিসিসিআই, বিডা, এটুআই, আইসিটি বিভাগ, স্টার্টআপ বাংলাদেশ, বিসিএস, বেসিস, এসএমই ফাউন্ডেশন, সেন্ট্রাল ব্যাংকের মতো সংস্থাগুলি বিভিন্ন উপায়ে জিইএন-এর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে, যেখানে ড. খান অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এমডি হিসেবে এই গ্লোবাল কমিউনিটিতে যোগদানের পর ড. খান তাঁর নেতৃত্বে জাতীয় বোর্ড ঘোষণা করতে যাচ্ছেন এবং শীঘ্রই জাতীয় বোর্ড জিইএন বাংলাদেশকে গ্লোবাল কমিউনিটির সবচেয়ে প্রাণবন্ত ইউনিটে পরিণত করার জন্য জিইএন গ্লোবাল মিশনে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করবে।