পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে আইনি নোটিস

একের পর এক ‘বিতর্কিত’ বক্তব্যের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ এ নোটিস পাঠান। লিগ্যাল নোটিসে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধান বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে তোলপাড় স্যোসাল মিডিয়া। গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। তিনি বলেন, আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের স্বাভাবিক জীবনে যখন নাভিশ্বাস তখন বাংলাদেশকে বেহেশতের সাথে তুলনা করে আরেক বিতর্কের জন্ম দেন তিনি। গত ১২ আগস্ট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। দেশের মানুষ ‘বেহেশতে’ আছে।
এর পূর্বে এক সাক্ষাৎকারে সরকারের উচ্চপদস্থ এই মন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মত।