টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন
মধ্য বর্ষায় গ্রীষ্মের খরা। টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পুরুষ ওয়ার্ডে ৭৮ জন, মহিলা ওয়ার্ডে ৯৮, শিশু ওয়ার্ডে ৯২, গাইনি ওয়ার্ডে ২১ জন, কেবিন ওয়ার্ডে ৩২ জন, আইসোলেশনে ৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন। ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি নিয়ে হাসপাতালের হিমশিম অবস্থা। আউটডোরেও বিপুলসংখ্যক রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আসিবুল আহসান আসিব জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে সর্দি ও ঠাণ্ডাজনিত জ্বরে আক্রান্ত শিশু ও নারী রোগী বেশি আসছে। সিজনাল ফ্লু আর রোদের তাপেও অসুস্থ হচ্ছেন অনেকে।
বর্ষাকালে নেই বৃষ্টি। চারদিকে তীব্র রোদ। টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তীব্র গরমে চাঁদপুর শহরের অনেক রাস্তার বিটুমিন গলে গেছে। পথ চলতে হাঁপিয়ে ওঠছেন সব বয়সের মানুষ। তারা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই পথে পথে শরবত খেয়ে প্রশান্তি খুঁজছি।
গরমে নাভিশ্বাসের মধ্যেই দেখা দিয়েছে নানা রোগের প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে রোগীর চাপ। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশির ভাগই শিশু। তাদের অনেকেই জ্বর, সর্দি-কাশি আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র গরম ও সিজনাল ফ্লুর কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। গরমের তীব্রতা না কমা পর্যন্ত শিশুদের প্রতি বিশেষভাবে যত্ন নিতে হবে। খুব দরকার না হলে ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি বেশি করে তরল খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, কবে হবে বৃষ্টি? ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, টাঙ্গাইল, রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। এটি আরো ক’দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে দেশের সব বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বলেও জানানো হয়।