মতলব দক্ষিণে পারিবারিক কলহে বৃদ্ধের আত্মহত্যা
মতলব দক্ষিণে পারিবারিক কলহের জেরে ফজলু মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধ বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। ১৭ জুলাই সকাল ১১টার দিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পারিবারিক অশান্তি ও ধার দেনাসহ বিভিন্ন চিন্তায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর। নিহত ফজলু মিয়া নারায়ণপুর পূর্ব বাজারে স্যানেটারী ব্যবসা করতেন।
ফজলু মিয়া উপজেলার কাজিয়ারা গ্রামের মৃত ছেরু মিয়া প্রধানের ছেলে। এ ঘটনায় মতলব দক্ষিণ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহত ফজলু মিয়ার এক ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কাজিয়ারা এলাকার মৃত ছেরু মিয়া প্রধানের ছেলে ফজলু মিয়া পারিবারিক অশান্তি, ধার দেনাসহ বিভিন্ন চিন্তায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে রোববার সকালে পরিবারের লোকজনের অগোচরে কীটনাশক (কেরির ট্যাবলেট) খায়। পরে তার ভাগ্নী দেখতে পেয়ে ডাকচিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে মৃত ফজলু মিয়ার চাচা খলিল হাজী জানান, ফজলুর স্ত্রী প্রতিদিন ফজলুর সাথে ঝগড়া করতো। এতে ফজলু মানসিকভাবে সবসময় হতাশাগ্রস্ত থাকতো। স্ত্রীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই ফজলু আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম রাব্বানী দেওয়ানজী জানান, ফজলু মিয়া ও তার স্ত্রী সবসময় ঝগড়া হতো বলে বাড়ির লোকজন আমাকে জানিয়েছে। গত কোরবানির ঈদে গরু বিক্রির তিন লক্ষ টাকা ছিল। দেনা শোধ করতে টাকা চাইলে তার স্ত্রী টাকা দেয়নি। এ নিয়েও তাদের মধ্যে ঝামেলা ছিল।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, পারিবারিক অশান্তি ও ধার-দেনার কারণে ফজলু মিয়া বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।