হাইমচরে কোস্টগার্ডের তাড়ায় নদীতে নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার
হাইমচর উপজেলার কাটাখালী মেঘনা নদীতে কোস্টগার্ডের তাড়ায় নিখোঁজ হওয়া জেলে মোঃ আলীর (৪০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জেলে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
গত ৩০ জুন ডাকাত সন্দেহে একটি জেলে-নৌকার ওপর হামলে পড়ে স্থানীয় কোস্টগার্ডের টহল টিম। এ সময় কোস্টগার্ডের তাড়া খেয়ে মোঃ আলী নামের ওই জেলে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। কোস্টগার্ডের মারধরে বিল্লাল হোসেন মাল (২৮) ও খিজির মিয়া (২৮) নামে দু জেলে আহত হয়। আহতরা হাইমচর উপজেলার ৪নং নীলকমল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তারা ঘটনার রাতে নদীতে মাছ ধরছিলো। এ ঘটনার তিনদিন পর ভোলা এলাকার মেঘনা নদীতে নিখোঁজ জেলের লাশ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হাইমচর কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা মোঃ আলী আহাম্মেদ বলেন, ৩০ জুন রাত আনুমানিক ৩টায় আমাদের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনটি ছিলো একটি জাহাজের নাবিকের। তিনি বললেন, আমাদের জাহাজকে দুটি ট্রলার অ্যাটাক করছে, তারা ডাকাত, আমাদেরকে সাহায্য করুন। এরপর আমি আমার ফোর্স নিয়ে রওনা হই। আমাদের ৪ জনের একটি টিম ঘটনাস্থল গাজীপুর ইউনিয়ন সংলগ্নে পৌঁছালে আমরা একটি বোট দেখতে পাই। তারা আমাদের দেখে চাক্কি মারা শুরু করে। এক পর্যায়ে আমরা তাদের আটক করতে সক্ষম হই। বোটের ভেতর ৬ জন জেলেকে পাই। তাদের বোট তল্লাশি করে অন্য কোনো অস্ত্র পাইনি। এরপর আমরা জেলা স্টেশন কমান্ডারের অনুমিতক্রমে জেলেদের ছেড়ে দিই।
অপর দিকে নিহত জেলে মোঃ আলী বেপারীর পিতা হোসেন বেপারী এবং আহত জেলেরা বলেন, কোস্টগার্ডকে আমাদের একজন নৌকা থেকে নদীতে পড়ে গেছে, তাকে বাঁচানোর কথা বললেও শুনে নাই। তারা উল্টো মারপিটে ব্যস্ত থাকে। কোস্টগার্ড আমাদের নৌকাকে তাদের বোটের সাথে বেঁধে জেটিতে নিয়ে যায়। ভোর হওয়ার সাথে সাথে আমাদেরকে মাঝ নদীতে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয়। আমাদেরকে হাইমচর হাসপাতালে এসে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি হতে হয়। হাইমচর থানায় এ বিষয়ে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তাই নিহত মোঃ আলী বেপারীকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে আমরা প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে এর বিচার পেতে সুদৃষ্টি কামনা করছি।