চাঁদপুর শহরের জন্যে হুমকি মিনি কক্সবাজার চর
চাঁদপুর শহরের মোলহেড থেকে মাত্র কয়েক কিলোটিমার পশ্চিমে জেগে ওঠা মিনি কক্সবাজার খ্যাত বাঁশগাড়ি চরটি শহরের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চরের কারণে নদীর স্বাভাবিক গতিধারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীর গতি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে এটি চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে এসে আঘাত করছে। তাই চরটি দ্রুত কেটে ফেলার মত সচেতন মহলের। গেল বছর জেলা প্রশাসকের আবেদনের প্রেক্ষিতে চরটিকে বালু মহাল ঘোষণা করে প্রায় ৯ কোটি ঘনফুট বালু তোলার অনুমতি দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। তবে অদৃশ্য কারণে এটি বন্ধ হয়ে আছে।
জানা যায়, চাঁদপুরের পদ্মা, মেঘনা, ডাকাতিয়া এই তিন নদীর মিলনস্থ থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে বাঁশগাড়ি চরটি মিনি কক্সবাজার হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। গেল কয়েক বছরে স্থানটি বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও মানুষ ঘুরতে আসে এখানে।
চরটি কাটতে স্থানীয় সাংসদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ এবং বিজ্ঞ সরকারি কৌঁসুলি মতামত দিয়েছেন। পরে জেলা প্রশাসকের আবেদনের প্রেক্ষিতে চরটিকে বালু মহাল ঘোষণা করে চর কাটার অনুমতি দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খানা মজলিশ বলেন, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কারের জন্যে যে ডিপিপি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে, সে প্রকল্পে চরটি অপসারণ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, চাঁদপুর শহরটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এখন ড্রেজিং করতে হলে বড় অংকের টাকা প্রয়োজন। প্রকল্প অনুমোদন হলেই কাজগুলো করা সম্ভব। কাজে ধীরগতি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাত জামিল বলেন, মূলত চরটি কাটার প্রক্রিয়া করবে জেলা প্রশাসন। আগামীকাল (আজ) জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত একটি সভা রয়েছে। সভায় যদি এ বিষয়টি তোলা হয়, তবেই প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কারের জন্যে ২০১৮ সালে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই-বাছাই হয়। প্রকল্পটি অনুমোদন হলেই কাজটি করা যাবে। যদি ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বালু মহাল ঘোষণা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেয়া হয়, তবে সরকার যেমনি পাবে রাজস্ব, তেমনি চাঁদপুর শহরের জন্যে হুমকিস্বরূপ বাঁশগাড়ি চরটিও অপসারণ হবে।