চাঁদপুরে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং
চাঁদপুরে আবারো ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে গ্রাহকসহ শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। গত রোববার ও সোমবার ৩ ও ৪ জুলাই এ দুদিন ভোর থেকে এ সমস্যা শুরু হয়। দিনভর চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ দিয়ে চলেছে চাঁদপুর। প্রচণ্ড গরমের মধ্য আবারো লোডশেডিং দেখা দেয়ায় জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সবচেয়ে বেশি নাকাল অবস্থা পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করছেন অনেকে।
চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান জানান, জাতীয় গ্রিড থেকে আকস্মিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো চাঁদপুরেও বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।
তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ ছাড়া চাঁদপুরে পিডিবির বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ৬৬ হাজার। প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা দিনের বেলায় ১৮ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বর্তমানে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ১১ মেগাওয়াট। ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ কম পাওয়ায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানায়, শতভাগ বিদ্যুতায়িত একটি জেলা চাঁদপুর। এতোদিন এ জেলায় বিদ্যুতের কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু রোববার ভোর ছয়টা থেকে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে প্রচণ্ড দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনে ৪-৫ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করায় বিপাকে পড়েছে আসন্ন এসএসসি, দাখিল ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান ব্যবসায়ী, পরীক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
বিদ্যুৎ সমস্যায় নিয়মিত কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায় শহরের, উপজেলার ব্যবসায়ী, কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। মিল-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান ক’জন অটোরাইস মিল মালিক।
একটি সূত্রে জানা যায়, গ্যাস সংকটের দরুণ কয়েকটি জায়গার পাওয়ার স্টেশন বন্ধ রয়েছে। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। এ কারণে হঠাৎ এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।