• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নিঃশর্ত মুক্তি চান নেতা-কর্মীরা

প্রকাশ:  ২১ এপ্রিল ২০২২, ১০:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মামলা-হামলা ও মোকদ্দমায় জড়িত হয়ে দীর্ঘ এক যুগেরও অধিক সময় ধরে চাঁদপুর জেলার সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতা-কর্মীদের আগলে রেখেছেন দলের দুঃসময়ের কা-ারী এবং সম্প্রতি জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সালে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ চলতি মাসের ২ তারিখে তিনি চাঁদপুর জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রত্যক্ষ ভোটে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি কোর্ট স্টেশন এলাকায় ২০১৮ সালের নির্বাচনকালে রেললাইন তুলে নেয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় তিনি বর্তমানে চাঁদপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, কালীবাড়িতে ঘটনার দিন তিনি হাজারো নেতা-কর্মী নিয়ে রেললাইন উত্তোলন করেছেন মর্মে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। যার নং জিআর ৫৬১, এসটিসি ১/২২। তিনি এ মামলার কোনো আসামী ছিলেন না। নতুন করে তার নাম চার্জশীটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
গত ১০ এপ্রিল সকালে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের আইনজীবীরা। চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমান (বিচারক) জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ওইদিনই দুপুর ১২টায় তাকে প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আদালত প্রাঙ্গণ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মুখে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে নেতা-কর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করে। বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অনেক নেতা-কর্মী সড়কে শুয়ে পড়েন তাদের প্রিয় নেতা শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের জন্যে।
ওই মামলার সাথে জড়িত অনেক নেতা-কর্মীই জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচন বানচালের জন্যে বিএনপির বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামীসহ এজাহারভুক্ত অনেক আসামী জামিনে রয়েছেন। শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ওই মামলার চার্জশীটভুক্ত ১৫নং আসামী।
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক কারাগারে যাওয়ার পরে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপি, জেলা যুবদল, জেলা ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রেখেছে। অনেকেই মুক্তির দাবি নিয়ে শহর ও গ্রামে পোস্টারিং করেছেন। বিএনপির সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সদ্য নির্বাচিত সভাপতির প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সম্মান দেখিয়েছেন। তারা বলছেন, আমাদের নবনির্বাচিত সভাপতির নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং আগামীতেও দলের সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবো।
জেলা ও উপজেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে অনেকেই বলেন, দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের ছেলে সন্তানদের বিয়েসহ চিকিৎসার কাজে তার ছিলো মানবিক সহযোগিতা। চাঁদপুর জেলার অনেক সিনিয়র নেতা-কর্মীর দেশ-বিদেশে চিকিৎসাসহ পারিবারিকভাবে সবসময়ই সহযোগিতা করেছেন তিনি। নিজের অর্থ দিয়ে জেলা সদর, হাইমচরসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতা-কর্মীদের মামলা-মোকদ্দমার ক্ষেত্রে নি¤œ আদালত, জেলা জজ আদালত ও উচ্চ আদালত পর্যন্ত জামিন শুনানির ক্ষেত্রে তার ছিলো সশরীরে উপস্থিতি। তিনি দলের হাল ধরতে গিয়ে তার ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক ক্ষতি করেছেন।
দলের নেতা-কর্মীরা জানান, সরকার জেলা বিএনপির নির্বাচিত সভাপতিকে ও তার দলকে নিষ্ক্রিয়তার জন্যে অনেক চাপ দিয়েছে। কিন্তু তিনি দলের আদর্শ থেকে কখনও বিচ্যুতি হননি। ঈদের আগেই নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপির অভিভাবকের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।