• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কে হচ্ছেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক ?

প্রকাশ:  ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১০:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলা পরিষদ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গত ১৭ এপ্রিল মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষে উপ-সচিব তানভীর আজম ছিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক পত্রে নির্বাচিত পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। ফলে জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সকল ধরনের ক্ষমতা বিলুপ্ত হয়ে যায়।
এদিকে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত পরিষদের দায়িত্ব পালন করবেন একজন প্রশাসকের নেতৃত্বে ২০জন সদস্য। জেলা পরিষদের সংশোধিত আইন অনুযায়ী সকল নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে পরবর্তীতে কে দিবেন এই পরিষদের নেতৃত্ব-এটা নিয়ে প্রতিযোগিতা ও গুঞ্জন চলছে।
জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে যাঁদের নাম আলোচিত হচ্ছে, তাঁরা হচ্ছেন, জেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটোয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক পৌর ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ইউসুফ গাজী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটোয়ারী বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আমি দীর্ঘ ৫ বছর ছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা দেখে আমার নেত্রী দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি মনে করেন এই পদে আমি যোগ্য, তাহলে তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা আমি মেনো নিবো।
জেলা পরিষদের প্রশাসক বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও কথা বলা যায় নি। তবে এ বিষয়ে তাঁর একান্ত সচিবের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপাতত কোনো কথা বলবেন না তিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিবেন তাঁর সাথে তিনি একমত রয়েছেন।
আবু নঈম পাটোয়ারী দুলালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রাজনীতি করি জনগণের জন্যে। অতএব জনকল্যাণে কাজ করাই আমার মুখ্য উদ্দেশ্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। এগুলো রাজনৈতিক পদ। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ইচ্ছে তো থাকবেই, কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য।
আলহাজ্ব ইউসুফ গাজী বলেন, আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত পৌর ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও যোগ্যতায় আমাকে যোগ্য মনে হলে এই পদে নেত্রী আসীন করবেন। তারপরও  নেত্রীর সিদ্ধান্ত  চূড়ান্ত বলে গণ্য।
জেলা পরিষদ প্রশাসকের বিষয়ে অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রজীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে এই দলের রাজনীতি করছি। আমি মনে করি, রাজনীতিতে আমি একজন পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। তারপর আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে।
চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসকের এই প্রতিযোগিতায় হাফ ডজন নেতার নাম থাকলেও কে হবেন শেষ পর্যন্ত জেলা পরিষদের প্রশাসক-তা এখন দেখার অপেক্ষা।