কড়ইয়া বটতলায় ও মনসা মুড়ায় পূজা এবং বৈশাখী মেলা
কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া বটতলায় ও বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের স্মৃতি বিজড়িত মনসা মুড়ায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পূজা ও বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে পৌরসভার কড়ইয়া বটতলা প্রাঙ্গণে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দের পূজা-অর্চনা, ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শীতলা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কড়ইয়া এলাকার মেলায় আবহমান বাংলার লোকজ শিল্পের তৈরি পণ্যসমৃদ্ধ বিভিন্ন স্টল স্থান পায়। একই দিন পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভূইয়ারা মনসা মুড়া প্রাঙ্গণে ভক্তবৃন্দের পূজা অর্চনা, ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মনসা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মনসা মুড়া এলাকার মেলায় লোকজ শিল্পের তৈরি পণ্যসমৃদ্ধ স্টল স্থান পায়।
মেলা দুটিতে উপস্থিত ছিলেন কচুয়া উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রাণধন দেব, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ পোদ্দার, উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ফণী ভূষণ মজুমদার তাপু, বিকাশ সাহা, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক ভৌমিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন পোদ্দার, মনসা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রণয় চক্রবর্তী ও কড়ইয়া বটতলা কমিটির আহ্বায়ক মানিক মজুমদার সোহাগ প্রমুখ। পূজা অর্চনা করে পুরোহিত বিশ^জিৎ চক্রবর্তী ও প্রবীর চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, কচুয়া উপজেলার এই দুটি স্থানে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দুই-তিন দিন আগ থেকেই দূর-দূরান্ত হতে মাটির তৈরি বিভিন্ন খেলনা পুতুল, মুখোশসহ বিভিন্ন ধরনের স্টলের পসরা সাজিয়ে বসতো বিক্রেতারা। করোনা মহামারীর কারণে গত দু বছর যাবৎ মেলার কার্যক্রম স্থগিত থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে সকল ধর্মের মিলন মেলার স্থল মনসা মুড়া ও কড়ইয়ার বটতলার বৈশাখী মেলা। কচুয়ার এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে এই দুটি স্থানের সংস্কার প্রয়োজন বলে বিজ্ঞজন মনে করেন।