• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জাটকা রক্ষা কর্মসূচি শুরু : সচেতনতামূলক নৌ-র‌্যালি

প্রকাশ:  ১৩ মার্চ ২০২২, ১০:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 সারাদেশে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। চাঁদপুরের নদ-নদী জাটকা বিচরণের অন্যতম ক্ষেত্র। তাই চাঁদপুরে এ কর্মসূচি কঠোরভাবে বাস্তবায়নে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা বদ্ধপরিকর। গতকাল চাঁদপুরে নৌ-র‌্যালির মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
পদ্মা-মেঘনার হাইমচরের চরভৈরবী থেকে মতলব উত্তরের ষাটনলের ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকা পর্যন্ত মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছের অভয়াশ্রম। এই দুই মাস জাটকা রক্ষা অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল প্রথমদিন নদীতে নৌ-র‌্যালি উদ্বোধন করেন জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। গতকাল ১ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বড়স্টেশন মোলহেড থেকে এ নৌ-র‌্যালি শুরু হয়।
উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক বলেন, অভয়াশ্রমের এ দু’ মাসে জেলেদের জন্যে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ঋণের কিস্তির জন্যে জেলেদের যাতে চাপ না দেয়া হয় সেজন্যও আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। জাটকা থেকে বড় ইলিশ পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি আরো বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ এবং জাতীয় সম্পদ। এটি রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। জাটকাগুলোই বড় ইলিশে রূপান্তর হবে। আগামী দুই মাস আমাদের প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সকলকে নিয়ে জাটকা রক্ষা করবো।
এ সময় চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুনুর রশীদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীনসহ জেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তা, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সাংবাদিকবৃন্দ ও মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে জেলেসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে জাটকা সংরক্ষণে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। পরে বেশ কয়েকটি স্পীডবোট ও ট্রলার নিয়ে নৌ-র‌্যালিটি চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেড থেকে শুরু হয়ে পদ্মা-মেঘনায় ট্রহল দেয়। র‌্যালিতে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এ দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তরে নিবন্ধিত ৪৪ হাজার ৩৫ জন জেলে রয়েছে। যাদেরকে অভয়াশ্রমের এ দুই মাসে জনপ্রতি ৪০ কেজি হারে চার মাস মোট ১৬০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।
ইতিমধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসের জেলে চাল বিতরণের জন্যে অভয়াশ্রম নদীবেষ্টিত চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ এ চার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ভিজিএফের ডিও দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদি হাসান।