নারায়ণপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে দেনা ও জুয়ার টাকার জন্য হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঋণ করে জুয়া খেলার পর জুয়ার দেনা পরিশোধের জন্য তাকে হত্যা করে দোকানের কর্মচারী জয় বিশ^াস (অনিক) (২২) ও তার সহযোগী হৃদয় সূত্রধর (২২)। এ ঘটনায় দুজনকে আটকের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার)।
তিনি বলেন, অনিক এবং হৃদয় তারা দুজনই বন্ধু এবং অনিক বর্তমানে এই দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করলেও হৃদয় গত এক বছর আগে একই দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তারা আইপিএল ও বিপিএলসহ বিভিন্ন খেলাকে কেন্দ্র করে জুয়া খেলতেন। এতে তারা প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো দেনায় পড়ে যায়। এই ঋণ পরিশোধের জন্য তারা এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে। দুজনই জানতো তাদের দোকানের মালিক রাতে বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা নিয়ে বাসায় ফিরেন। যা বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা পাওয়া যেতে পারে।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ আরও বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে দোকান বন্ধ করে আত্মীয়র বাসায় যান অমর সরকার। সঙ্গে তার কর্মচারি অনিকও ছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে হৃদয় অমর সরকারের গলায় ছুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। পরবর্তীতে অনিক ও হৃদয় মিলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ওইদিন রাতে চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ উপজেলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী অমর ভক্ত সরকারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার কর্মচারি অনিককে (২২) থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে অনিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেন। পরে তার সহযোগী হৃদয় সূত্রধরকে আটক করে পুলিশ। আটকদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ৪০ ভরি লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১৮ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারোলো ছুরি, রক্তমাখা হ্যান্ডগ্লাভস, নিহতের স্বর্ণালংকার রাখার কাপড়ের হ্যান্ডব্যাগ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। আটকদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া, ইন্সপেক্টর তদন্ত মোঃ মফিজুল ইসলামসহ পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ।