সাখুয়া থেকে লক্ষ্মীপুর ॥ পরবর্তীতে মডেল ইউনিয়নে স্বীকৃতি
‘গ্রাম হবে শহর’ প্রধানমন্ত্রীর এ শ্লোগানের বাস্তবতা যেখানে খুঁজে পাওয়া যায়
‘গ্রাম হবে শহর’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই শ্লোগানের বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যায় চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে। এই জনপদটি ছিলো বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। আর বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়নের ফলে এই ইউনিয়ন এখন আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে খ্যাত। সেজন্যে এই ভোট ব্যাংকে হানা দিতে বিএনপি-জামায়াত মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে নানা ষড়যন্ত্র ও অপকৌশল নিয়ে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। ষড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হবেই।’ অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে এসব মন্তব্য করলেন লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও বেশ কিছু বাসিন্দা।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা সৃষ্টিতে সারা জেলার মডেলে পরিণত হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বাড়ি বাড়ি পাকা রাস্তা, প্রতিটি গ্রামে পর্যাপ্ত ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-মাদ্রাসা, রেকর্ড সংখ্যক আশ্রয়ণ প্রকল্প, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ পানি, সৌর বিদ্যুতে পরিচালিত স্ট্রিট লাইটসহ নগরজীবনের প্রায় সব সুযোগ-সুবিধার আওতায় এসেছে এ ইউনিয়ন। সব মিলিয়ে বদলে যাওয়া এক গ্রামীণ জনপদের নাম ‘লক্ষ্মীপুর’।
অথচ মাত্র ১ যুগ আগেও এসব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ছিলো না লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে। অনেক বাড়িতে ছিলো না বিদ্যুৎ। কাঁচা রাস্তাও ছিলো না সব বাড়িতে। চাঁদপুর জেলা শহর তথা পৌরসভার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন হলেও এটিকে তখন অজোপাড়াগাঁ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সেই জনপদে এখন শহুরে সুযোগ সুবিধা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পূর্বে এ ইউনিয়নের নাম ছিলো সাখুয়া। মোঃ সেলিম খান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর লক্ষ্মীপুর মৌজার নামে ইউনিয়নের নামকরণ করেন লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন। আর মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পায় জেলা প্রশাসক প্রিয়তোষ সাহার পত্রের আলোকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে। ইউনিয়নবাসী বলেন, চেয়ারম্যান সেলিম খানের পরিকল্পনা, প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা ও নিরলস পরিশ্রমে নামের মতোই ব্যাপক উন্নয়নে পাল্টে গেছে পুরো ইউনিয়নের চিত্র। এক দশকের ব্যবধানে ইউনিয়নটি আজ সত্যি সত্যি মডেল ইউনিয়নে রূপ নিয়েছে। আর এই পাল্টে যাওয়াটা জনগণের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি-প্রশান্তি হলেও কারো কারো কাছে ঈর্ষা!
স্থানীয় জনগণ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত এক দশকে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়ির প্রতিটি ঘর বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। ইউনিয়নটি এখন শতভাগ বিদ্যুতায়িত। পাকা রাস্তা হয়েছে প্রায় ৩০ কিলোমিটার, যা নতুন রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে রেকর্ড। এছাড়া মূল রাস্তা থেকে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কানেক্টিং রাস্তা হয়েছে শতাধিক। প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার নতুন ভবন হয়েছে ১৩টি। সংস্কার হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। বড় ধরনের আশ্রয়ণ প্রকল্প হয়েছে ৬টি। নতুন ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মিত হয়েছে ৩০টির বেশি। ঘাটলা নির্মিত হয়েছে অর্ধশতাধিক। আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল বসেছে সহ¯্রাধিক। স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মিত হয়েছে অর্ধশতাধিক। সুদৃশ্য একটি বেসরকারি স্কুল এন্ড কলেজও স্থাপিত হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সরকারিভাবে জেলার প্রথম কর্মমুখী বিশ^বিদ্যালয় ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়’ স্থাপিত হতে যাচ্ছে এ ইউনিয়নে। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও স্থাপিত হচ্ছে এখানে। দেশের খ্যাতনামা ও শীর্ষ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘শাপলা মিডিয়া’ এখানে আন্তর্জাতিক মানের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, সিনেপ্লেক্স, তারকা হোটেল ও নদীকেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়েছে। এসব উন্নয়ন ও কর্মযজ্ঞের কারণে এ জনপদের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। জমির দাম বেড়েছে বহুগুণ। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে শত শত মানুষের। বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প/উদ্যোগসমূহ চালু হলে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।
তবে যার নেতৃত্বে গ্রামীণ এ জনপদের মানুষ শহুরে জীবনযাত্রার আওতায় এসেছে, সেই ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম খান এখন নানামুখী ষড়যন্ত্রের শিকার বলে জানান স্থানীয়রা। শুধু তাই নয়, সরকারি-বেসরকারি এসব মহাপ্রকল্প/পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও জানান তারা।
রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মনির শেখ (৪৫) বলেন, সেলিম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে গত ১০ বছরে যত উন্নয়ন হয়েছে, এর আগের ১০০ বছরে তার অর্ধেক উন্নয়নও হয়নি। আমরা জনগণ এমন একজন যোগ্য নেতা ও জনদরদী মানুষ পেয়ে খুশি। তবে কিছু লোক এ উন্নয়নের জোয়ার দেখে এখন হিংসায় হাবুডুবু খাচ্ছে। তারাই চলমান ও ভবিষ্যত উন্নয়ন কর্মকা- বাধাগ্রস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বিএনপি-জামায়াত এ অপপ্রচারের উদ্যোক্তা হলেও সরকার দলের কিছু লোকও তাদের সাথে সুর মেলাচ্ছে। এতে ব্যক্তি সেলিম খানের চেয়ে আওয়ামী লীগ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা এদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শ্রীরামপুর গ্রামের অধিবাসী খোকন রাঢ়ী (৬৫) বলেন, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি পাকা রাস্তা, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। মাত্র ১০-১৫ মিনিটে একেকটি বাড়ি থেকে চাঁদপুর শহরে যাওয়া/আসা যায়। এ সুবিধার কারণে অনেকেই এখন শহরের ভাড়া বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে থাকছে, আর কাজ করছে শহরে। বাড়ি থেকে আসা-যাওয়া করে শ’ শ’ শিক্ষার্থী শহরে পড়াশোনা করছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় হচ্ছে আমাদের ইউনিয়নে। এসব কারণে আমাদের জমির দাম বহুগুণ বেড়ে গেছে। দাম ব্যাপক হারে বাড়ায় অনেকে এখন জমি বিক্রি করতে চাচ্ছে না, আরো দাম বাড়ার আশায়।
লক্ষ্মীপুর ইউপি মেম্বার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জহির হাওলাদার বলেন, আমাদের ইউনিয়নে প্রায় ৩৪ হাজার ভোটার। বিগত কয়েকটি জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা অধিকাংশ ভোট পেয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী আর আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান থাকে বিশাল। এ ইউনিয়ন এখন আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিগত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এমপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়ি এ ইউনিয়নে। এসব কারণে আওয়ামী লীগের সেই ভোট ব্যাংকে হানা দিতে বিএনপি-জামায়াত নেতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে নেমেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো জেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগের কিছু নেতাও বিএনপি-জামায়াতের সাথে আঁতাত করে দলের সুনাম নষ্টের পাঁয়তারা করছে এবং আওয়ামী লীগের এই ভোট ব্যাংকে আঘাত করছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরশাদ মিজি বলেন, আমরা একজন যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে পেয়েছি। তার নেতৃত্বে এ ইউনিয়নে সারা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। আরো অনেক উন্নয়ন অপেক্ষমান। এতো উন্নয়ন দেখে বিএনপি-জামায়াত ও আমাদের দলের কিছু নেতা চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে নেমেছে। অথচ সেলিম খান এখন দেশ-বিদেশের একজন সফল ব্যক্তিত্ব। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সদস্য, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের সদস্য, বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রতিষ্ঠান ‘শাপলা ফিল্ম ইন্টারন্যাশনাল’ এর চেয়ারম্যান, তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি অনুমোদিত আইপি টেলিভিশন ‘ভয়েস টিভি’র চেয়ারম্যান, দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার সত্ত্বাধিকারী, সিনেবাজ-এর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সদস্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্যসহ বহু প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সেবামূলক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত। সেলিম খান পরপর দু’বার শ্রেষ্ঠ করদাতা নির্বাচিত হয়ে সরকারের কাছ থেকে পুরস্কৃতও হয়েছেন।
লক্ষ্মীপুরবাসীর মন্তব্য হচ্ছে-আমাদের নেতা সেলিম খান তাঁর জনপ্রিয়তার প্রমাণ ২০০৩ সালেই দিয়েছেন। তখন বিএনপি সরকারের আমলে বিএনপির প্রভাবশালী রানিং চেয়ারম্যান হাফেজ বেপারীর সাথে নির্বাচন করে সেলিম খান জনগণের ভোটে নির্বাচিতও হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে মাত্র ২৮২ ভোটে হারানো হয়েছে। যা তখন স্থানীয় সকল পত্রিকায় নিউজ হয়েছে।
মোঃ সেলিম খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ ও ‘আগস্ট ১৯৭৫’ নামক দু’টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে সারাদেশে সাড়া জাগিয়েছেন। এসব চলচ্চিত্র নির্মাণের পর তাকে হুমকি-ধমকি প্রদানসহ নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তার বিরুদ্ধে। হামলা হয়েছে শাপলা মিডিয়ার অফিসে। এসব বিষয়ে তিনি ঢাকা ও চাঁদপুরে একাধিক জিডিও করেছেন।
এসব বিষয়ে সেলিম খান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যায়। লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়িতে সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। নদী ভাঙনসহ নানা কারণে গৃহহীন হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রয় পেয়েছে। চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি মহোদয়ের আন্তরিক সহযোগিতায় আমার ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আরো অনেক উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, একসময় এই ইউনিয়ন ছিলো বিএনপির দুর্গ। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশব্যাপী উন্নয়নের ছোঁয়া ও স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্যের কৃপায় আমি আমার ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছি। যে কারণে এখন ইউনিয়নটি বিএনপির পরিবর্তে আওয়ামী লীগের দুর্গ বলে পরিচিত। তিনি আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৪৬টি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি গৃহহীনদেরকে। যারা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করছে, জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের জবাব দেবে। তবে মিথ্যাচার অব্যাহত থাকলে এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হলে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষের সেবা করার চেষ্টা করছি। আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এলাকায় ২টি মসজিদ নির্মাণ করেছি। অসংখ্য গরিব মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছি। রোগাক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্যে ৪০ শতাংশ জমি দান করেছি। মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করে কেউ আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না, জনসেবা বন্ধ করতে পারবে না।