বৃষ্টিতে ফরিদগঞ্জে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জে হঠাৎ মাঘের টানা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষেতে পানি জমে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। গত বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সারাদিন ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে ফসলি ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় এ ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবারেও আকাশ মেঘলা ছিলো।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২০ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলায় ৩৬৫ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল সরিষার চাষ হয়। আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে কৃষকরা পুরোদমে সরিষা মাড়াই কাজ শুরু করবেন।
অন্যদিকে চলতি মৌসুমে উপজেলায় আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৬শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টিপাতে প্রায় ৪০টির মতো গ্রামের রোপণকৃত ধান, আলু, সরিষাসহ শীতকালীন ফসলের ক্ষেতে পানি জমে গেছে। ফসলী জমি থেকে পানি না সরাতে পারলে এসব ফসল নষ্ট হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কেরোয়া গ্রামের কৃষক ছলেমান, শওকত এবং নেছার আহমেদ বলেন, চলতি মৌসুমে আমরা প্রায় ২ একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি। হঠাৎ বৃষ্টিপাতে আমরা আমাদের ফসলি মাঠে গিয়ে দেখি সরিষার গাছগুলো বাতাসে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে এবং জমিতে পুরোদমে পানি জমে রয়েছে। কোনো রকমে জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছি। আজও আকাশ মেঘলা। যদি আকাশ খরা দেয় তাহলে ফসল ঘরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তা না হলে ফসলের খরচ নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
উপাধিক গ্রামের কৃষক জাবেদ ও হারুন বলেন, আমরা ১ একর জমিতে আলু চাষ করেছি, বৃষ্টিতে আমাদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি। আলু টিকবে কি না এ নিয়ে শঙ্কায় আছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক বিন জামান জানান, বর্তমানে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব দেয়া সম্ভব না। এর মধ্যে দুদিনের টানা রোদ পাওয়া গেলে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আলুর ক্ষতিটা অনেক কম হবে। তবে বিরূপ আবহাওয়া থাকলে ডুবে যাওয়া ফসল বিশেষ করে আলুর ক্ষতি ব্যাপক হারে হতে পারে বলে জানান তিনি।