দল ও সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র মেনে নিতে পারেনি বলেই জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে : জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ
‘ভয়ভীতি আমাদের দেখাবেন না ॥ কাচের ঘরে বসে অন্যকে ঢিল মারবেন না’
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় নিয়ে সম্প্রতি নানামুখী আলোচনা, একটি অনলাইন মিডিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির দীর্ঘ সাক্ষাৎকার এবং সর্বশেষ গত বুধবার জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে সোস্যাল মিডিয়ায় দেয়া বিবৃতির বিষয়ে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের অন্য নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইউসুফ গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, মোঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, শিক্ষা ও মানব সম্পদক বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল এবং জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অজয় ভৌমক। এই বিবৃতিটি গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের মেইলে পাঠানো হয়। বিবৃতিটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অতীতেও হয়েছে, বর্তমানেও হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র কখনো দলের আদর্শ বিরোধীরা করেছে, আবার কখনো দল এবং সরকারের ভেতরেই থাকা মোশতাকের দোসর স্বার্থান্বেষীরা করছে। তবে ষড়যন্ত্রকরীরা কখনো চূড়ান্তভাবে সফল হয়নি। জনগণ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের সামনে যখন তাদের দুরভিসন্ধি, ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যাচার পরিষ্কার হয়ে যায়, তখন জনতার আদালতে তারা আসামী হয়ে যায়, জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়। ইতিহাস তাই প্রমাণ করে।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবধি রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছেন। টানা এই তৃতীয় মেয়াদে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। চাঁদপুরও এই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের বাইরে নয়। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনটি ডাঃ দীপু মনির হাত ধরে আওয়ামী লীগ ফিরে পায়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের এই নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা জয়লাভ করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী ডাঃ দীপু মনির এই বিজয় ছিলো অবিস্মরণীয়। এর প্রতিদানও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। চাঁদপুর-হাইমচরবাসীর নির্বাচিত এই সাংসদকে শেখ হাসিনা তাঁর মন্ত্রী সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে যেমনি নারীর ক্ষমতায়নের এক নবদিগন্তের সূচনা করলেন, তেমনি তিনি আমাদেরও সম্মানের উচ্চ শিখরে নিয়ে গেলেন। সেজন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
ডাঃ দীপু মনি চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শুরু হয় তাঁর নেতৃত্বে উন্নয়ন কর্মকা-। এই উন্নয়ন যজ্ঞ একসময়ে মহাযজ্ঞে পরিণত হয়। চাঁদপুর-হাইমচরকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা, ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, মেরিন একাডেমী, নার্সিং ইন্সটিটিউট, চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের রি-মডেলিং তথা আধুনিকায়ন, চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালকে ১৫০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে উন্নীতকরণ, মৎস্য ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটসহ আরো বড় বড় উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে ডাঃ দীপু মনির প্রথম মেয়াদের পাঁচ বছরে। এছাড়া সমুদ্র বিজয়ের বিষয়টি তো ডাঃ দীপু মনির অবিস্মরণীয় সফলতার বিশ্বব্যাপী আলোচিত বিষয়। তাঁর অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকা- এবং চাঁদপুর ও হাইমচরবাসীর ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ-সমর্থনের প্রতিদান হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনেও ডাঃ দীপু মনিকে মনোনয়ন দেন। এবারও চাঁদপুর-হাইমচরবাসী তাদের অভিভাবক হিসেবে দীপু মনিকে বেছে নেন। দীপু মনি টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্য হয়ে তাঁর উন্নয়ন কর্মকা-ের ধারা অব্যাহত রাখলেন। এই মেয়াদেই চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের শুভসূচনা হয়। আধুনিক নদী বন্দরের কাজও তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে হাতে নিয়েছেন। কিন্তু এটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। এর পেছনেও রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। দলের ভেতরে থাকা সুবিধাবাদী স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের প্রিয় নেত্রী মাননীয় সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনির উন্নয়ন কর্মকা-ের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে বাধাগ্রস্ত করতে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করতে থাকে। যার কারণে মেডিকেল কলেজের জন্যে স্থায়ী জায়গা নির্ধারণ এখনো হয়নি এবং আধুনিক নদী বন্দর আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু কুচক্রী ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ডাঃ দীপু মনির প্রতি চাঁদপুর-হাইমচরের জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে এতোটুকুও ছেদ পড়েনি। আবারো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চাঁদপুর ও হাইমচরের জনগণের ভালোবাসার প্রতিদান দিলেন তাদের প্রিয় নেত্রী ও অকৃত্রিম অভিভাবক ডাঃ দীপু মনিকে তৃতীয়বারের মতো একই আসন থেকে দলের মনোনয়ন দিয়ে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আবারো ডাঃ দীপু মনির ঐতিহাসিক জয়। এবার জননেত্রী শেখ হাসিনা চাঁদপুর-হাইমচরবাসীর ভালোবাসা এবং অকুণ্ঠ-সমর্থনের ধারাবাহিকতার মূল্যায়নটা করলেন আরো একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টির মধ্য দিয়ে। দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী করলেন আমাদের প্রিয় নেত্রী ডাঃ দীপু মনিকে। বাংলাদেশের পুরো শিক্ষা পরিবারের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে তাঁর পথচলা শুরু হলো। তিনি মন্ত্রীত্ব গ্রহণের মাত্র একমাসের মাথায় সামনে আসলো এসএসসি পরীক্ষা। তাঁর সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করার বিষয়টি। যেটা ধারাবাহিকভাবে কয়েক বছর চলে আসছিলো। আল্লাহর রহমতে তিনি পুরোপুরি সফল হলেন। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা খুব ভালোভাবে প্রশ্নপত্রের কোনো ধরনের ফাঁস ছাড়াই সম্পন্ন হলো। প্রথম বছরেই শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ডাঃ দীপু মনি তাঁর যোগ্যতা এবং সফলতাকে অনন্য স্থানে নিয়ে গেলেন। এদিকে ডাঃ দীপু মনির সুনাম, খ্যাতি, সফলতা যতই বাড়তে থাকে কুচক্রী মহলটি তাদের ষড়যন্ত্রের ডালপালা নানাভাবে বিস্তার করতে থাকে। সেই ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশবিশেষ চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানা প্রপাগান্ডা, অপপ্রচার ও মিথ্যাচার। আর এই ষড়যন্ত্রে প্রকাশ্যে চলে আসলেন আমাদের দলেরই এই জেলার অভিভাবক চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ। তিনি বুঝে হোক আর না বুঝে হোক দলের এবং সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেললেন। বিদেশ থেকে এবং তারেক জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত ‘ফেস দ্যা পিপল’ নামে যে একটি অনলাইন মিডিয়ায় জনাব নাছির উদ্দিন আহমেদ দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সেখানে তিনি অনেক মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়েছেন। যা দল এবং সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর স্পষ্ট অবস্থান হিসেবে ইতিমধ্যে জনগণের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। যেখানে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই, সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ আনাটা নিতান্তই ব্যক্তিগত আক্রোশ এবং ঈর্ষাপরায়ণ বলে আমরা মনে করি। আর দলের অভিভাবকের (জেলার) চেয়ারে থেকে ডাঃ দীপু মনির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মিডিয়ায় বলা মানে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। কারণ, ডাঃ দীপু মনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরপর চারবারের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষামন্ত্রী এবং দলের একজন সংসদ সদস্য। জনাব নাছির উদ্দিন আহমেদের কোনো কথা বা অভিযোগ থাকলে তিনি তা দলীয় ফোরামে বলতে পারতেন। আর সাংগঠনিক নিয়মও তা-ই। কিন্তু তিনি তা না করে ভিন্ন পথে গিয়ে তিনি তাঁর অভিভাবকত্ব হারিয়েছেন। তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তিনি দল এবং সরকারের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে ক্ষুণœ করেছেন, প্রশ্নের মুখোমুখি করেছেন। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, আধুনিক নৌ-বন্দরসহ যে মেগা প্রকল্পগুলো রয়েছে সেগুলো যেনো বাস্তাবায়ন না হয়। আর এসব বাস্তবায়ন হলে আগামী নির্বাচনে এই অঞ্চলে নৌকার বিপরীতে অন্য কোনো প্রার্থী দাঁড়াতেই পারবে না।
শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় সংবাদ সম্মেলন করে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে নির্ধারিত জায়গা থেকে তাঁর বা তাঁর পরিবারের বিন্দুমাত্র সুবিধা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, সেখানে তাঁর বা তাঁর ভাইয়ের নামে কোনো জায়গাই নেই। তিনি একই সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বড় ভাই চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপুর পক্ষ থেকে একটি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে তার বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু সে সময় করোনা পজিটিভে আক্রান্ত থাকায় তাঁর বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রী মিডিয়ার কাছে উপস্থাপন করেন। এছাড়া ঐ সংবাদ সম্মেলনে ডাঃ দীপু মনি চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তাঁর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত করার কথাও বলেছেন। এরপর আর কোনো কথাই থাকতে পারে না বলে আমরা মনে করি। তারপরেও কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। তারা নানাভাবে মিথ্যাচার ও প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে হীন উদ্দেশ্যে। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির অপচেষ্টা হয়ে থাকলে তা অবশ্যই নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্যটা বের হয়ে আসুক। যা শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিও দৃঢ়তার সাথে বলে আসছেন। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেমন দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স, আমরাও এ ব্যাপারে আপসহীন।
আমরা আরো জানাচ্ছি যে, সভাপতি জনাব নাছির উদ্দিন আহমেদ যে দিন ‘ফেস দ্যা পিপল’ নামে অনলাইন মিডিয়ায় বিতর্কিত এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করে বক্তব্য দিয়েছেন, সেদিন আমরা এ বিষয়ে দলীয়ভাবে তাৎক্ষণিক করণীয় নির্ধারণ করতে জেলার সাধারণ সম্পাদক জনাব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি তা গুরুত্ব না দিয়ে পরবর্তীতে দেখলাম তিনিও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলেন। যা গত বুধবার জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে একটা বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে স্পষ্ট হলো। এ ব্যাপারে প্রথমত আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, এটা সোস্যাল মিডিয়ায় দেয়া সংগঠনের বিধিবহির্ভূত। দ্বিতীয়ত ওই বিবৃতিতে তাঁরা যে সম্প্রতি চাঁদপুর শহরসহ জেলাব্যাপী বিক্ষোভ-প্রতিবাদের কড়া সমালোচনা করেছেন, তার দ্বারা দালিলিকভাবে প্রমাণ হয়ে গেল যে, এসব ষড়যন্ত্রের সাথে তারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আর প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, দল ও সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র মেনে নিতে পারেনি বলেই দলের তথা বৃহত্তর আওয়ামী পরিবারের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
দল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ছাড়াও নানা পেশাজীবী সংগঠন এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্লাটফর্ম সংস্কৃতি অঙ্গন থেকেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মানববন্ধন হয়েছে। সকল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মানববন্ধনের বক্তব্য একটাই- চাঁদপুরের উন্নয়নর রূপকার শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। কোনো ষড়যন্ত্র বা অজুহাতে চাঁদপুরের উন্নয়নের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন যেনো ব্যহত না হয়। উন্নয়নকে ব্যহত করার এসব ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন ও মূলোৎপাটন করে ফেলতে হবে। অনুরোধ করি ভয়ভীতি আমাদের দেখাবেন না। কাচের ঘরে বসে অন্যকে ঢিল মারবেন না।
সর্বশেষ বিবৃতিদাতাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই, নিজেদের কৃতকর্মের দিকে একটু তাকান। অনুরোধ করবো, দল এবং সরকারের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী যে খেলায় আপনারা মেতে উঠেছেন, তা থেকে বিরত হোন। অন্যথায় এর পরিণতির দায় আপনারা এড়াতে পারবেন না।