এল আরও তিন রাফাল, শক্তি বাড়ল ভারতীয় বিমানবাহিনীর
ফ্রান্সের তৈরি আরও তিনটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের মালিক হলো ভারত। ফলে শক্তি বাড়ল ভারতীয় বিমানবাহিনীর।
রাফাল বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা ড্যাসল্ট এভিয়েশন মঙ্গলবার এই যুদ্ধ বিমান ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। আপাতত যে বিমানগুলো পাঠানো হয়েছে এগুলো যাচাই করে দেখবে ভারত।
অত্যন্ত আধুনিক সামগ্রীতে সজ্জিত এই যুদ্ধ বিমান। যেকোনো ক্ষেত্রে পাল্টা আঘাত হানার জন্য এই যুদ্ধ বিমান অত্যন্ত উপযোগী।
ভারতীয় বিমানবাহিনী সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারতের উপযোগী ফিচার্স যুক্ত হয়েছে এই রাফাল যুদ্ধবিমানের সঙ্গে। আরও যেসব ফিচার রয়েছে এ যুদ্ধবিমানের-
• আকাশ থেকে আকাশে দূর পাল্লার মিসাইল ছুঁড়তে সক্ষম
• উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা
• উচ্চ অক্ষাংশেও ইঞ্জিন চালু রাখা
• মিসাইল আসার আগে তার সংকেত পাওয়া যাবে
• রেডিও অলটিমিটার আরও উন্নত, সিন্থেটিক অ্য়াপারচার রাডার
স্থায়ী হচ্ছে যুদ্ধবিমানে নারী পাইলট
এদিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণ বিষয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ছয়বছর আগে নারীদের যুদ্ধবিমান চালানোর পরীক্ষা হিসেবে যা শুরু হয়েছিল তা এইবার স্থায়ী হয়ে উঠবে। ২০১৫ সালে নারীদের যুদ্ধবিমানের পাইলট করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে তা অবশ্য় পরীক্ষামূলকভাবে। সেই পরীক্ষামূলক নিয়োগ এখন স্থায়ী হতে চলেছে। তিনি বলেছেন, এই পরীক্ষামূলক স্কিমকে স্থায়ী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।
রাজনাথ সিং টুইটারে লিখেছেন, এটি ভারতের ‘নারী শক্তি’ এবং নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতির সাক্ষ্য প্রমাণ।
ভারতের সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীতে বর্তমানে ৯ হাজারের বেশি নারী কর্মরত আছেন। গত সাত বছরে সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। যেখানে নারীদের এখন ফাইটার প্লেন ওড়ানোর এবং যুদ্ধজাহাজে সেবা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে; সেখানে পদাতিক বাহিনী বা ইনফ্যান্ট্রিতে ট্যাঙ্ক এবং যুদ্ধের ক্ষেত্রে এখনও নারীদের সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ১৯৯২ সালে তাঁদের প্রথমবারের মতো মেডিকেল স্ট্রিমের বাইরে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
২০২১ সালের মে মাসে সেনাবাহিনী মিলিটারি পুলিশের কর্পসে মহিলাদের প্রথম ব্যাচকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। প্রথমবার তাদের নন-অফিসার ক্যাডারে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।