মেঘনায় রাতে অবাধে চলছে বালুবাহী বাল্কহেড
মতলব উত্তরে নদী পথে বালুবাহী বাল্কহেড দিনের বেলায় তো বটেই রাতের বেলায় অবাধে চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর নদী পথে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাল্কহেডের লাইট বন্ধ করে আস্তে আস্তে চালায় সুকানীরা। এসব বাল্কহেডের বেপরোয়া চলাচলের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণহাণির ঘটনাও ঘটছে।
নৌ পুলিশের হিসাব মতে, গত তিন বছরে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বেপোরোয়া বালুবাহী ট্রলার চলাচলের কারণে মেঘনা নদীতে প্রতিদিন পারাপার হওয়া মানুষের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। কখন দুর্ঘটনার শিকার হয় এমন আতঙ্ক থাকে নৌকা ও ট্রলারের যাত্রীরা।
জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে রাতেও চলাচল করছে বালুবাহী বাল্কহেড সহ মালবাহী কার্গো। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার হচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ।
বেপরোয়া বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলের পাশাপাশি মেঘনায় অবাধে চলছে ফিটনেস বিহীন নৌযান। শ্যালো মেশিন দিয়ে তৈরি খোলা ইঞ্জিনের বিকট শব্দে নদী তীরের লোকজনের ঘুম ভাঙ্গে প্রতিদিন। এসব নৌযানের মধ্যে বালুবাহী ট্রলারের সংখ্যাই বেশি। ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকাগুলো ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। নদী পাড়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে চাইছে না।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন মোহনপুর, এখলাছপুর খেয়াঘাট দিয়ে ট্রলার ও নৌকায় করে হাজারো মানুষ পারাপার হয়। কিন্তু বেপরোয়া ভাবে কার্গো, বাল্কহেড চলাচলের কারণে আতঙ্ক নিয়ে আমাদের খেয়া পারাপার হতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। খেয়া পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় আমরা বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে কোথাও যেতে পারি না।
খেয়া পারাপারকারী নৌকার মাঝি বলেন, নৌ-দুর্ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী বাল্কহেড। বাল্কহেড লোড হয়ে চলাচল করলে পানির সঙ্গে মিশে থাকায় এটাকে দেখা যায় না। এ ছাড়া বাল্কহেড দ্রুতগতিতে চলায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। বিশেষ করে রাতে বাল্কহেড চলাচল করলে দেখা যায় না।
বিআইডাব্লিউটিএ অফিস সূত্রে জানা যায়, আইনেই আছে, রাতে বাল্কহেড ও মালবাহী কার্গো চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু মেঘনায় রাতের বেলায় এসব নৌযান চলাচল করছে, এটা সত্য। অধিক মুনাফার লোভে মালিকেরা রাতে শ্রমিকদের নৌযান চলাচলে বাধ্য করছেন।
এ বিষয়ে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অহিদুজ্জামান বলেন, মেঘনায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে বালু বোঝায় বাল্কহেড। আমরা সন্ধ্যার পর যাতে চলাচল করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখছি। সূত্র : যুগান্তর।