করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার বয়স আরও কমলো
প্রথমে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করে সরকার। পরবর্তীতে তা কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়। এবার বুস্টার ডোজ দেয়ার ন্যূনতম বয়স ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। দেশে করোনা সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৫০ বছর পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দিচ্ছি। কিন্তু আমরা খুব বেশি পরিমাণ সাড়া পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত খুবই কমসংখ্যক মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছে। তাই এখন থেকে ৪০ বছর বয়সীরাও পাবেন বুস্টার ডোজ। আমাদের হাতে ৯ কোটি টিকা রয়েছে।
সরকার গত মাস থেকে করোনা টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করে। ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়। দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আমরা ১২ বছরের ওপরে সবাইকে টিকা দেবো। পূর্বে শুধু স্কুল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা ছিল, এখন শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য সব শিশু-কিশোরকেও টিকা দেওয়া হবে। ১২ বছরের ঊর্ধ্বে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও এখন টিকা পাবে।
শিশুদের টিকা প্রয়োগ পদ্ধতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম বর্তমানে যেভাবে চলছে, সে পদ্ধতিতেই ১২ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া হবে। কেন্দ্রে গেলেই টিকা পাবে। যদি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারে, তাহলেই আমরা টিকা দেব। কিছু দেখাতে না পারলেও আমরা তাদের ফেরত দেব না।
‘বিভিন্ন দেশেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করা হয়েছে, বাংলাদেশেও এমন কোনো পরিকল্পনা আছে কি না’ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে আমাদের আলাপ হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবে বলে জানিয়েছে। তাদের থেকে আমরা বার্তা পেলেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছরে নামিয়ে আনা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডাঃ শামসুল হকসহ আরও অনেকে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।