• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজীগঞ্জ পৌরসভায় একক পরিবার ও একাধিক পরিবারের পানির বিল সমন্বয় করা হয়েছে ---------------------সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবর রশিদ

প্রকাশ:  ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 হাজীগঞ্জ পৌরসভার একক ও একাধিক পরিবারের মধ্যে পানির বিল সমন্বয় করা হয়েছে। পৌরসভা থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে পানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি। পানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যে অপপ্রচার চলছে তাতে কান না দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পৌরবাসীকে জানানোর জন্যে রোববার হাজীগঞ্জে কর্মরত সংবাদকর্মীদের অবহিত করেছেন পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন) মোঃ মাহবুবর রশিদ।
এদিন পৌরসভার সামনের বাগানে সংবাদর্মীদের মাঝে পানির বিল বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন পৌরসসভার এই প্রকৌশলী।
মাহবুবর রশিদ বলেন, পানির বিল বৃদ্ধি নয়, একক পরিবার এবং একাধিক পরিবারের মধ্যে বিল সমন্বয় করা হয়েছে। হাজীগঞ্জ পৌরসভায় কোনোরূপ পানির বিল বাড়ানো হয়নি বরং পরিবার প্রথা চালু করা হয়েছে মাত্র। আমাদের পাশের পৌরসভাগুলো বহু পূর্ব থেকে এই পরিবার প্রথা চালু করে।
এ সময় তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, প্রতি পরিবারে চৌমুহনী পৌরসভায় পানির বিল ২৫০ টাকা, লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ৩৮০ টাকা, চাঁদপুর পৌরসভায় ১০০ টাকা এবং হাজীগঞ্জ পৌরসভায় ১০০ টাকা। হাফ (আধা) ইঞ্চি সংযোগে চাঁদপুর পৌরসভায় পানির বিল ৩০০ টাকা, লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ৪২০ টাকা এবং চৌমুহনী পৌরসভায় ৩০০ টাকা। অথচ হাজীগঞ্জ পৌরসভায় মাত্র ২০০ টাকা। পৌনে এক ইঞ্চি সংযোগে চাঁদপুর পৌরসভায় পানির বিল ৪০০ টাকা, লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ৫৮০ টাকা এবং চৌমুহনী পৌরসভায় ৬০০ টাকা। অথচ হাজীগঞ্জ পৌরসভায় মাত্র ৩০০ টাকা। চাঁদপুর পৌরসভা প্রায় ১০ বছর আগে এই প্রথা চালু করে। অপর দিকে ১ ইঞ্চি সংযোগে চাঁদপুর পৌরসভায় পানির বিল ৫০০ টাকা, লক্ষীপুর পৌরসভায় ৮০০ টাকা এবং চৌমুহনী পৌরসভায় ১১০০ টাকা। অথচ হাজীগঞ্জ পৌরসভায় মাত্র ৫৫০ টাকা। ১.৫ (দেড় ইঞ্চি) সংযোগে চাঁদপুর পৌরসভায় পানির বিল ২০০০ টাকা, লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ১৬০০ টাকা এবং হাজীগঞ্জ পৌরসভায় মাত্র ৮০০ টাকা।
মাহবুবর রশিদ আরো বলেন, ২০১১ সালের পর অর্থাৎ গত ১২ বছরে পানির বিল বৃদ্ধি করা হয়নি। এই ১২ বছরে বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে কয়েকবার। বিদ্যুৎ বিলের সাথে পানির বিল বৃদ্ধি করার কথা। কারণ, বিদ্যুৎ ছাড়া পানি উৎপাদন সম্ভব নয়। কিন্তু জনবান্ধব মেয়র পৌরবাসীর কথা চিন্তা করে পানির মূল্য বৃদ্ধি করেননি। যার ফলে পৌরসভার রাজস্ব থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
এ বছর হাজীগঞ্জ পৌরসভা পানির বিল বৃদ্ধি না করে একক ও একাধিক পরিবারের সাথে সমন্বয় করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতদিন একটি পরিবার যদি ৩০০ টাকা বিল দিতেন, তাহলে একজন বাড়িওয়ালাও ১০টি-১৫টি কিংবা ৫টি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে একই বিল দিতেন। অথচ এমনও বাড়িওয়ালা রয়েছেন যেখানে একাধিকসহ পরিবারসহ ৫/১০/২০/৪০টি পরিবার ভাড়া থাকে। এতে করে হাজীগঞ্জ পৌরসভা বড় অংকের আয় থেকে বঞ্চিত হতো। তাই পৌরসভা পানির বিল বৃদ্ধি না করে পরিবার প্রতি সমন্বয় করেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পৌরসভার বার্ষিক সাধারণ সভা এবং মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপনের দ্বিতীয় মেয়াদের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র-১ ও ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার আলম বেপারী, কাউন্সিলর মোহাসীন ফারুক বাদল, মোঃ শাহআলম, মাইনুদ্দিন মিয়াজীসহ অন্যসকল পৌর কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উচ্চমান সহকারী আব্দুল লতিফ ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।