শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে ৩০ মার্চ
আগামী ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আব্দুল মান্নান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় কিনা-সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা বৈঠকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানিয়ে ওইদিন প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘সরকার খোলার (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) পরিবেশটা প্রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে একটা মিটিংয়ে বসব। এটা আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং হবে।’
এরই মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হলে ফেরার আন্দোলন শুরু করেন। কোনো কোনো স্থানে শিক্ষার্থীদের তালা ভেঙে হলে প্রবেশের ঘটনাও ঘটে। এ পরিস্থিতিতে ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দেন, আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে।
সূত্র : জাগো নিউজ।