সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট রাত ১১টায় তার শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়। তার প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ও বুক ব্যথা দেখা দেয়। ওই রাতেই তাকে শহরের বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জরুরী আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন হওয়ায় এবং অবস্থার অবনতির কারণে সে রাতেই তাকে ঢাকা নেয়া হয়েছে। ধানমন্ডির জেনারেল এন্ড কিডনি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্যাহ বলেন, ইকরাম চৌধুরীর মরদেহ আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় তার প্রিয় কর্মস্থল চাঁদপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আনা হবে।
তিনি আরো জানান, ইকরাম ভাইয়ের প্রথম নামাজে জানাজা বিকেল সোয়া চারটায় প্রেসক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এখানে শুধুমাত্র সাংবাদিকরা অংশ নিবেন। তারা আর কলেজ মাঠের জানাজায় অংশ নিবেন না। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত।
ইকরাম চৌধুরীর ছোট ভাই ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরী জানান, ইকরাম চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স। বাদ আসর তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে।
ইকরাম চৌধুরী চাঁদপুরের অন্যতম সিনিয়র সাংবাদিক। তিনি একাধারে চ্যানেল আইয়ের স্টাফ রিপোর্টার, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক চাঁদপুর দর্পণের সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। এর আগে যুগান্তর, ইনকিলাবসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছেন তিনি।
চাঁদপুর শহরের নাজিরপাড়ার পারিবারিক বাসায় সপরিবারে বসবাস করতেন ইকরাম চৌধুরী। তার পৈত্রিক বাড়ি ফরিদগঞ্জের বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাজার এলাকায়। তিনি চাঁদপুরস্থ ফরিদগঞ্জ ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি ছিলেন। ইকরাম চৌধুরীর পিতা মরহুম দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী মহকুমা শিক্ষা অফিসার ছিলেন।