• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কচুয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় আটক ২ : প্রধান আসামীর স্বীকারোক্তি

প্রকাশ:  ০৫ আগস্ট ২০২০, ১৩:১৬ | আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২০, ১৩:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কচুয়া উপজেলার বড় হায়াতপুর গ্রামের বিল থেকে স্কুলছাত্রী জান্নাতুন নাঈম মিশুর (১৪) মৃতদেহ উদ্ধারের পর হত্যাকান্ডে জড়িত নুর আলম ও সজীব হোসেনকে আটক করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। উন্মোচন হয়েছে হত্যার প্রাথমিক রহস্য।

প্রধান আসামী সজীব হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামী নুর আলমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের শিকার জান্নাতুন নাঈম মিশু বড় হায়াতপুর গ্রামের প্রবাসী হানিফের কন্যা। সে স্থানীয় চাঁদপুর এম এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- ফরিদগঞ্জ থানাধীন গাব্দেরগাঁও গ্রামের আমির হোসেনের পুত্র সজীব (১৯); বর্তমানে সে বড় হায়াতপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে বসবাস করে। অন্যজন হচ্ছেন বড় হায়াতপুর গ্রামের মনির হোসেনের পুত্র নুর আলম (২৫)।

মিশুর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুরে মিশু তার পালিত ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে বাড়ির পাশে যায়। কয়েক ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেলেও মিশু বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুজি করা হয়। কিন্তু তার কোন খোঁজ মিলেনি।

এ অবস্থায় গত ১ আগস্ট শনিবার মিশুর নিখোঁজ বিষয়ে কচুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ডায়েরি নং-১২। গত রোববার দুপুরে বড় হায়াতপুর গ্রামের দক্ষিণ পূর্ব পাশে ধানি জমির বিলে মিশুর লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গত ৩ আগস্ট মিশুর মা শেফালী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (নং ২)। এ মামলার আসামী হিসেবে নুর আলম ও সজীবকে আটক করা হয়।

কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বলেন, গ্রেফতাকৃত সজীব ও নুর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিশু হত্যার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি প্রকাশ করেছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে ওইসব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

তিনি আরো জানান, মূলত উক্ত আসামীদ্বয় পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম মিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের ঘাস কাটার স্থান থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ দক্ষিণে বিলের মধ্যে খালের পানির হেলেঞ্চা ঘাসের নিচে ডুবিয়ে রাখে।

এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কচুয়া শাখার উদ্যোগে মিশু হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তশূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কচুয়া সরকারি বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া একই দিনে চাঁদপুর এম এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করে।