• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

অবশেষে নদী গর্ভে হারিয়ে গেল রাজরাজেশ্বর ওমর আলী হাই স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার

প্রকাশ:  ২৪ জুলাই ২০২০, ১১:৩৮
উজ্জ্বল হোসাইন
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদর উপজেলার সর্ব-পশ্চিমে মেঘনা নদীর অপর প্রান্তে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের অবস্থান। এই ইউনিয়নের বেশির ভাগ অংশই পদ্মা ও মেঘনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে আছে। প্রায় ৩৯,৪০২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে প্রায় ৪২ হাজার ৩৯৪ জন মানুষ বসবাস করে আসছে। ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করে ও নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। শিক্ষার হার অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে খুবই কম। শিক্ষা লাভে প্রাথমিক শেষে একমাত্র মাধ্যমিক স্কুল ওমর আলী হাই স্কুল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহুবার স্কুল ভবন নদী গর্ভে বিলীন হলেও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির প্রচেষ্টায় একটি ত্রিতল বিশিষ্ট স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করা হয়। যা ২ মাস আগে নির্মাণ শেষে হস্তান্তর করা হয়েছিল কর্তৃপক্ষের কাছে। ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি ব্যবহারের আগেই অবশেষে নদী গর্ভে হারিয়ে গেল। গত ১ সপ্তাহ ধরে নদীর ঢেউয়ের সাথে টিকে থাকার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল স্কুল ভবনটি। নদী ভাঙ্গনের সাথে সাথে এটি বিলীন না হলেও শেষ পর্যন্ত এটি নদী গর্ভেই চলে গেলো। এটি নদীর মাঝখানে গত এক সপ্তাহব্যাপী দাঁড়িয়ে ছিলো। নদীর গভীরতা কম এবং সিটু পাইলিং বেশি হওয়াই ছিলো এটি সপ্তাহকাল টিকে থাকার একমাত্র কারণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরে গেল নদীর অব্যাহত ঢেউ আর স্রোতের কাছে।

ওমর আলী স্কুলটি রাজরাজেশ্বর এলাকায় চরের মানুষদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছিল। স্কুলটির সাথে সংশ্লিষ্ট এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গনের কবলে পড়া স্কুলটির এই করুণ দশা এই নিয়ে দশম বার।

উত্তরাঞ্চল থেকে নেমে আসা বন্যার পানির প্রবল স্রোতে রাজরাজেশ্বরে তীব্র নদী ভাঙ্গন এখনও অব্যাহত। এলাকাবাসীর দাবি, বার বার ভাঙ্গন কবলিত চাঁদপুরের বিচ্ছিন্ন এই জনপদে একটি ভাসমান স্কুল কাম কমিউনিটি ক্লিনিক করার। কারণ উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রতিবছরই চাঁদপুরে পদ্মা ও মেঘনা নদী দুকূলে ভাঙ্গনের তা-ব চালায়। বর্তমানে উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি পদ্মা-মেঘনা নদী দিয়ে সাগরের দিকে প্রবাহিত হবার কারণে চাঁদপুর শহরও রয়েছে হুমকির মুখে। ষাটনল থেকে চর ভৈরবী তীর রক্ষা বাঁধ কাম রিভার ড্রাইভ জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবি।