• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চলতি শিক্ষাবর্ষ বাড়তে পারে মার্চ পর্যন্ত

প্রকাশ:  ২৮ জুন ২০২০, ১১:০০ | আপডেট : ২৮ জুন ২০২০, ১১:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

করোনা সংকটে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। তিনি বলেন, বর্তমান সংকট পুষিয়ে নিতে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। শিক্ষাবর্ষের ছুটি কমিয়ে শ্রেণি ঘণ্টা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষার্থীর জ্ঞানার্জন ও দক্ষতা অর্জনের দিকটি আপস করা হবে না। যতটুকু না পড়ালে পরবর্তী ক্লাসে ওঠা সম্ভব না হয় সেটিকে গুরুত্ব দেয়া হবে।

শনিবার এডুকেশন রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

'করোনায় শিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণে করণীয়' শীর্ষক এ সেমিনারে সভাপতিত্ব সংগঠনের সভাপতি মোসতাক আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে আমরা কোটি কোটি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। তাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুল-কলেজ খোলা হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে নিতে আমরা কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

তিনি বলেন, বর্তমান সংকট পুষিয়ে নিতে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। শিক্ষাবর্ষের ছুটি কমিয়ে শ্রেণি ঘণ্টা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষার্থীর জ্ঞানার্জন ও দক্ষতা অর্জনের দিকটি আপস করা হবে না। যতটুকু না পড়ালে পরবর্তী ক্লাসে ওঠা সম্ভব না হয় সেটিকে গুরুত্ব দেয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, শুধু পরীক্ষার জন্য সিলেবাস তৈরি করা হয় না, পরবর্তী ক্লাসে ওঠার জন্য তার জ্ঞানার্জনের জন্য যা শেখা প্রয়োজন তা শেখানো হয়। ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য বছর শেষে পরীক্ষা আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতিবছর সিলেবাসে নানা ধরনের ছুটি থাকে, সেসব ছুটি বাতিল করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সংকট এড়াতে চলতি বছর ও আগামী শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস থেকে ছুটি কমিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হবে।

অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান ইরাব সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক। সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবি্বর নেওয়াজের সঞ্চালনায় এতে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইরাব কোষাধ্যক্ষ শরিফুল আলম সুমন।

আলোচনায় অংশ নেন ইরাব যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম জসিম, দফতর সম্পাদক এম এইচ রবিন, সাংবাদিক মহিউদ্দিন জুয়েল ও তানিয়া আক্তার।