চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট দেবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি
চাঁদপুর জেলাবাসীর জন্যে একটি সুখবর জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। তিনি চাঁদপুর জেলার সর্ববৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র আড়াই শ' শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের জন্যে একটি সেন্ট্রাল অঙ্েিজন প্লান্ট দেয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এটি স্থাপন করতে যাচ্ছেন। এর দ্বারা হাই ফ্লো অঙ্েিজন দেয়ার কাজ চলবে।
শিক্ষামন্ত্রী গতকাল শনিবার চাঁদপুর জেলা করোনা বিষয়ক প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ ঘোষণা দেন। তাঁর এ ঘোষণায় তাঁকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয় সভায়। এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি আপাতত এখন জেনারেল হাসপাতালের ৩০ শয্যা কভার করার মতো ক্যাপাসিটির হবে। পরবর্তীতে এটিকে আরো বাড়ানো যাবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি চাঁদপুরের হাসপাতালটির জন্যে একটি সেন্ট্রাল অঙ্েিজন প্লান্ট ম্যানেজ করেছি। তবে এটি বিদেশ থেকে এনে এখানে স্থাপন করা পর্যন্ত আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগবে। তিনি আরো বলেন, করোনা চলে গেলেও এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি সব সময়ের জন্যেই কাজে লাগবে। বিশেষ করে আইসিইউর জন্যে তো অবশ্যই এটি লাগবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়। এখানে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছে। অনেক সময় মুমূর্ষু রোগী আসছে। যাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে খুবই সমস্যা হচ্ছে, যেটি সিলিন্ডারের অঙ্েিজনে কভার করে না। এতে করে রোগীর দুর্ঘটনা ঘটে। সে জন্যে দেখা যায় যে, হাসপাতালে ভর্তি করার ১/২ ঘণ্টার মধ্যেই রোগী মারা যায়। অর্থাৎ এই মুমূর্ষু অবস্থায় রোগীর যে সাপোর্ট দরকার, সেটি এ হাসপাতালে নেই। সে কারণে প্রথমে হাসপাতালের ডাক্তারদের থেকেই দাবি উঠে হাসপাতালে একটি সেন্ট্রাল অঙ্েিজন প্লান্ট স্থাপনের। অতীব প্রয়োজনীয় এ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমন একটি মহৎ কাজ করে পুরো জেলাবাসীর উপকার করলেন এবং মানুষের সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খানের সভাপ্রধানে ভার্চুয়াল সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ কামাল, পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, এনএসআইয়ের যুগ্ম পরিচালক মোঃ আজিজুল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল এবং শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলসহ কমিটির অন্য সদস্যগণ।
সভায় চাঁদপুরের করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং এ বিষয়ে করণীয় কী হতে পারে সে ব্যাপারেও বিভিন্ন জনে নানা মতামত ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেন চাঁদপুর শহরসহ পুরো জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিষয়ে ম্যাপ করার জন্যে। এ ম্যাপ দেখে আক্রান্তের হার অনুযায়ী এলাকা ভিত্তিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সে লক্ষ্যে আজ রোববার বিকেল ৫টায় পুনরায় ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।