• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী ভর্তি নেই

সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে ২৫ বেডের আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত : তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হাবিব-উল করিম

প্রকাশ:  ২৫ মার্চ ২০২০, ১০:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যে আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে সন্দেহজনক হলে সাথে সাথে তাকে এই ওয়ার্ডে এনে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেয়া যায়। এ তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হাবিব-উল করিম। তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে শোকরিয়া চাঁদপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী এখনো পর্যন্ত ভর্তি নেই। তারপরেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিতে চিকিৎসকদের জন্যে রোস্টার করা হয়েছে। ১ জন করে চিকিৎসক তিন শিফটে ডিউটি করবেন। পাশাপাশি হাসপাতালের আউটডোর-ইনডোরে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে, চলবে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার আমাদের আইসোলেশন ইউনিট পরিদর্শনও করেছে ন।

তিনি আরো জানান, বিশেষায়িত এ আইসোলেশন কেন্দ্রটি চালুর জন্যে হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পিপিই চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে : জনবল, যন্ত্রপাতি, ওষুধপত্র, বিশেষায়িত গাউন, জুতা, মাস্ক ও বিশেষ ধরনের চশমাসহ পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই), চিকিৎসা টিমের প্রশিক্ষণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যে পর্যাপ্ত কিট, রোগীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্রের লন্ড্রি সার্ভিসসহ এ কাজের জন্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চাওয়া হয়েছে। চিকিৎসা সরঞ্জামসহ পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পর্যাপ্ত পরিমাণ সাপ্লাই আসবে।

মঙ্গলবার সরজমিনে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিট প্রায়ই ফাঁকা। পুরানো ভর্তি রোগীরা আছেন। নতুন ভর্তি রোগী তেমন আসছে না। মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগলেও করোনা আতঙ্কে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না এসে জ্বর, গলা ব্যথা, খিঁচুনিসহ সাধারণ অন্য রোগে ভুগলেও তারা বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছে। অজানা এক আতঙ্কের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষ।

হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এমন কোনো রোগী এ হাসপাতালে এখনো পর্যন্ত ভর্তি হয় নাই। তারপরও হাসপাতালে ভর্তি হবার মতো রোগীই এখন আসছে কম।

এদিকে জেলা সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ ে৭টি করে এবং বেসরকারি হাসপাতালের ১০ বেডের জন্য ১টি ও ২০ বেডের জন্য ২টি আইসো?েলশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, করোনার ভয়ে অন্য রোগীরা যেনো চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে অনেক মানুষ করোনা ছাড়াই বিনা চিকিৎসায় মারা যাবার আশঙ্কা থাকবে।