• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রিপেইড মিটারের সিস্টেমের ফাঁদে গ্রাহকরা

প্রকাশ:  ২২ মার্চ ২০২০, ২০:৩৪
উজ্জ্বল হোসাইন
প্রিন্ট

একটা সময় এনালগ বিদ্যুৎ মিটার ছিলো। প্রতিমাসে একটা নির্দিষ্ট সময় বিল আসতো এবং সেখানে কোনো ব্যাংকে কত তারিখে বিল পরিশোধ করতে হবে তা লেখা থাকতো। অনেকে সে অনুযায়ী কাজ করতো। আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার বিপরীতে চলতো। আর তখন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ৬ মাস বা এক বছর পর বকেয়া আদায়ে নোটিস দিতে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংযোগ বিচ্ছন্ন করার মত ঘটনা ঘটাতো। সেখানে ভুলের খেসারত দিতো গ্রাহক নিজেই। কারণ জরিমানাসহ পুরো বকেয়া পরিশোধ সাপেক্ষে সংযোগ স্থাপন করতে হতো।

 


তারপর আসলো নতুন ব্যবস্থা প্রিপেইড মিটার সিস্টেম। কর্তৃপক্ষ এটির মাধ্যমে দুটি কাজ হাসিল করতে চেয়েছেন। একটি হলো দেশের জাতীয় সম্পদ বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার এবং আগে বিদ্যুৎ ক্রয় পরে খরচ। ভালোতো ভালো, খুব ভালো, কারণ ক্রয়ের পর ব্যবহার। এতে কতজন কতবার সংবাদ প্রচার করেছেন, কত মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করেছেন, তার কোনো হিসেব নেই। কারণ, ডিজিটাল প্রিপেইড মিটারে নানা রকম ভোগান্তি। এসব মিটারে প্রতিমাসে আবার টাকা কর্তনের কারণও একটি। যাক গ্রাহকরা সবই মেনে নিয়েছে। গ্রাহকরা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিতে জানে। আবার কেউ কেউ হয়ত তা পারেন না।

নতুন করে আবার সেই প্রিপেইড মিটারের সিস্টেমের ফাঁদে পড়েছে চাঁদপুর শহরের গ্রাহকরা। মিটারের টাকা যাদের শেষ হয়েছে শুধু তারাই হয়ত বুঝবেন নতুন সিস্টেমের খেলাটা কী? বর্তমানে প্রিপেইড মিটারে টাকা ঢোকানোর জন্যে গেলে দেখা যায় ২২০ ডিজিটের একটি নাম্বার দেয়। সে নাম্বারটি মিটারে সঠিকভাবে প্রবেশ করাতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ নামক সোনার হরিণ আর যতক্ষণ তা গ্রাহক করতে ব্যর্থ হবেন ততক্ষণ তাকে চেষ্টা চালাতেই হবে। আবার যদি উল্টোপাল্টা কিছু করেন তাহলে মিটার লক হয়ে যায়। আর যদি একবার লক হয় তাহলেতো বোঝা যায় পরের ঘটনা কী হবে। নতুন সিস্টেমে গ্রাহক নিজেই সিস্টেম হয়ে যেতে পারেন। সবশেষ কর্তৃপক্ষের নিকট গ্রাহকরা আবেদন করেছেন : ২২০ সংখ্যার নতুন সিস্টেম থেকে মুক্তি দিন!

সর্বাধিক পঠিত