চাল, আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম বাড়িয়ে বিক্রি
করোনা গুজবে চাঁদপুরে পণ্য কেনার হিড়িক
নভেল করোনা ভাইরাস আতঙ্কে কৃত্রিম সংকটের সম্ভাবনায় একসঙ্গে পণ্য কিনে রাখছে মানুষ। ফলে বেড়েছে নিত্যপণ্যের বিক্রি। এ সুযোগে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী চাল,আলু,পেঁঁয়াজ,আদা
রসুনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বুধ ও গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।সামর্থ্যবান পরিবারগুলো তাদের চাহিদার কয়েকগুণ বেশি পণ্য সংগ্রহ করায় বাজার থেকে পণ্য কেনার হিড়াক পড়ে যায়।বিশেষ করে পণ্য কেনার হিড়িক পাইকারি বাজার পুরাণবাজারে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। পালবাজার,বিপনিবাগ,নতুনবাজার,বাবুরহাটসহ অন্যান্য খুচরা বাজারেও একই দৃশ্য সবার চোখে পড়ছে। গ্রামের হাটবাজারের ব্যবসায়ীরাও চাহিদার বেশি পণ্য কিনে সড়ক ও নৌপথের বিভিন্ন যানবাহনে নিয়ে যাচ্ছে।আতঙ্কিত হয়ে তারা এসব পণ্য কিনে নিচ্ছে বলে জানাযায়।
গতকালও চাঁদপুরের চালরর বাজার অপরিবর্তিত ছিল। প্রকারভেদে সবধরনের চাল কোন কারণ ছাড়াই
ভোক্তাদের অভিযোগ
প্রতিবস্তা চাল
২০০০ হাজার টাকা থেকে ২৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।প্রতি বস্তায় ৫০০ টাকা অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে নেয় পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা।
অপর দিকে একদিনের ব্যবধানে পিঁয়াজ বেড়ে গেছে কেজিতে ১০ টাকা। ৩৮/৪০ টাকার পেঁয়াজ ৫৫ টাকা থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করেছেন পিঁয়াজের বড় পাইকার পুরাণবাজার মসজিদ পট্টির মোস্তাফা মোল্লা ও সামসুদ্দিন মোল্লা দুই সহোদর।এবার তারা পেঁয়াজ আদা রসুন বিক্রিতে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অন্য দিকে আলু কেজিতে বেড়ে গেছে ৫ টাকা।১৬/১৬ টাকার আলু এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০/২২ টাকা। কদিন আগে এ আলুর পাইকারি দর ছিল সাড়ে ১০ টাকা থেকে ১১ টাকা।ভোজ্য তেল,ডাল,আটা ময়দার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
গতকাল প্রশাসনের বাজার মনিটরিং তৎপরতা না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত দাম হাঁকিয়ে পণ্য বিক্রি করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী অনেক সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন।
পালবাজারের কাঁচাবাজারে প্রয়োজনীয় বাজার করতে আসা ফরিদগঞ্জের রাবেয়া বেগম (৫৫) জানান, ‘করোনাভাইরাস ইউরোপের অনেক শক্তিশালী দেশকে ঘায়েল করে ফেলেছে। সে সব দেশে ঘর থেকে বাইরে বের হলেই জরিমানা করা হচ্ছে। আমাদের দেশেও যদি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা-ই আগেভাগেই নিত্যপণ্য একটু বেশি করে কিনে রাখছি।’ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।পরিস্থিতি খারাপ হলে অন্যান্য অনেক কিছু বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ আশঙ্কায় হুমড়ি খেয়ে মানুষ বেশি বেশি করে কেনাকাটা করে নিচ্ছে। এ দিকে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী বলেছেন,চাল,ডাল,ভোজ্যতেল,চিনির কোন সংঙ্কট নেই।উৎপাদন ও আমদানি দুটোই বেশি রয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে নিত্যপণ্যের মজুদ না বাড়ানোর জন্য ভোক্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আর সাধারণ মানুষের ভাষ্য, প্রশাসন এ সময়ে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং জোরদার না রাখলে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরা যাবে না।অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।