• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মার্কা পেয়েই প্রচারণা যুদ্ধে অবতীর্ণ প্রার্থীরা

প্রকাশ:  ১১ মার্চ ২০২০, ১২:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরজুড়ে ভোটের হাওয়া। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারযুদ্ধে নেমে পড়েছেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। শহরের সকল সড়ক ও অলিগলিতে শুরু হয়েছে ৩ মেয়র প্রার্থীর দলীয় প্রতীক নৌকা, ধানের শীষ ও হাতপাখার শ্লোগান। বাজছে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক গান। কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখর শহর এলাকা।

চায়ের আড্ডা থেকে রাজনৈতিক অঙ্গন_সর্বত্র আলোচনায় চাঁদপুর পৌরসভার এ নির্বাচন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ৯ মার্চ প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নেমে পড়েন প্রচারণার যুদ্ধে। শুরু করেন মিছিল ও জনসংযোগ। প্রচারণার প্রথমদিনে প্রতীক নিয়ে মিছিল, জনসংযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন তারা। নিজ নিজ এলাকায় জনগণের সঙ্গে দলীয় প্রতীকসংবলিত লিফলেট ও পোস্টার নিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় সস্নোগানসহ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান প্রার্থীদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।

১০ মার্চ সকালে পুরাণবাজার ২নং ওয়ার্ড এলাকায় প্রচারণায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে উন্নয়নের পক্ষে এবং নান্দনিক চাঁদপুর গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নৌকায় ভোট চান তিনি। দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা এ সময় তাঁর সাথে গণসংযোগে অংশ নেন।

অপরদিকে মেয়র পদে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ভূঁইয়া ধানের শীষ মার্কার সমর্থনে সকাল থেকে ১১নং ওয়ার্ডের নিউ ট্রাকরোড, গাজী সড়ক, উত্তর গুণরাজদী, মোস্তান বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলসহ বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে পুরাণবাজার ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী আলহাজ মামুনুর রশিদ বেলাল। দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে তিনি হাতপাখা মার্কায় ভোট চান।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, ১৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আগামী ২৯ মার্চ ইভিএমের মাধ্যমে ৫২টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ১ লাখ ১৬ হাজার ৪শ' ৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৮ হাজার ১শ' ৪৪ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ৫৮ হাজার ৩শ' ৪৩ জন।