• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করে অবৈধভাবে বিশাল গোডাউন নির্মাণ

প্রকাশ:  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৩৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র জোড় পুকুর পাড় এলাকায় অবস্থিত মীর শপিং কমপ্লক্সে পেছনে রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করে বিশাল পরিসরে গোডাউন নির্মাণ করা হয়েছে। মীর শপিং কমপ্লক্সেরে মালিক মীর মোঃ খালেদ হায়দার নিজেই এ কাজটি করলেন। রেলওয়ের সম্পত্তিতে কোনো প্রকার পাকা ভবন কিংবা ইট-বালু দিয়ে পাকা দেয়াল নির্মাণ করার নিয়ম না থাকলেও রেলওয়ের সরকারি সম্পত্তি নিজেদের মতোই দখল করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

মীর শপিং কমপ্লক্সে পেছনে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কদিন ধরে মার্কেটের মালিক মীর মোঃ খালেদ হায়দার এবং কজন ব্যবসায়ীর যোগসাজশে মার্কেটের পূর্ব থেকে পশ্চিমে রেলওয়ের বিশাল জায়গা দখল করে ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে পাকা দেয়াল করে গোডাউন নির্মাণ করা হচ্ছে। জায়গাটি মার্কেটের পেছনে হওয়ায় এমন অবৈধ দখল কারো নজরে পড়ছে না।

জানা গেছে, মীর শপিং কমপ্লক্সে পেছনে রেলওয়ের পুকুরটি লিজ নেন মীর শপিং কমপ্লক্সে মালিক মীর মোঃ খালেদ হায়দার। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে পুকুরের কিছু অংশ ভরাট করে গোডাউন নির্মাণ করেন তিনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, অত্যন্ত সুকৌশলে মীর শপিং কমপ্লক্সে পেছনে রেলওয়ের সম্পত্তির উপর গোডাউন নির্মাণ করেছেন কমপ্লক্সে মালিক।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আগামীতে মীর শপিংয়ের পেছনে থাকা লেকটি ভরাট করে রেলওয়ের সম্পত্তির ওপর প্রায় ২শ'টি দোকানের একটি মার্কেট নির্মাণ এবং আরো গোডাউন করার পরিকল্পনাও করছেন মার্কেটের মালিক মীর মোঃ খালেদ হায়দার। রেলওয়ের সম্পত্তি লিজ নেয়ার কথা বলে এভাবে গোডাউন নির্মাণ করে সেই গোডাউন ভাড়া দেয়ার কথা বলে তিনি দোকানদারদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

গত কয়েক বছর ধরে দেখা গেছে যে, চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে রেললাইনের পাশে থাকা লেক এবং ভরাট জায়গাগুলো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনোপ্রকার অনুমতি বা অনুমোদন ছাড়াই দোকান নির্মাণ, পাকা ভবন কিংবা মার্কেট নির্মাণ করে যে যার মতো রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করছেন। আর এসব সরকারি সম্পত্তি দেখভাল করার জন্যে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও তা যেনো কারোরই নজরে পড়ছে না। অথবা কর্তৃপক্ষের নজরে পড়লেও কড়াকড়ি কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আর স্থায়ীভাবে কড়াকড়ি কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে এভাবেই দিন দিন একের পর এক দখল হচ্ছে রেলওয়ের সম্পত্তি। যদিও বর্তমানে এবং গত কয়েক বছর ধরে রেলওয়ের সম্পত্তি লিজ দেয়া বন্ধ রয়েছে। কিন্তু সুবিধাবাদীরা পুরানো লিজের কথা বলে অবৈধভাবেই দখল করছে রেলওয়ের সরকারি সম্পত্তি। তাই সম্পত্তিগুলো রক্ষা করার জন্যে এক্ষণই কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে মীর শপিং কমপ্লক্সে মালিক মীর মোঃ খালেদ হায়দারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মার্কেটের পেছনের লেকটি আমার অনেক পুরানো লিজ নেয়া। যদিও রেলওয়ের সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মাণের কোনো অনুমতি বা লিজ নেই, কিন্তু তবুও এটি পুরানো গোডাউন হওয়ায় মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মালমাল রাখার জন্যে তা মেরামত করা হচ্ছে। তারা আমাকে বলছে যে এটি মেরামত করবে। কিন্তু তারা যে ইট বালি দিয়ে এটি করবে তা আমি বলতে পারবো না।

বাংলাদেশ রেলওয়ে লাকসাম, চাঁদপুর ও নোয়াখালী রেলওয়ে ভূমির দায়িত্বে থাকা কানুনগো কাউছার মিয়া জানান, এ বিষয়টি আমি আজকে জানতে পেরেছি। আমি কালকে (আজ) খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।