• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

পুলিশ ও র‌্যাবের ১১৮ কর্মকর্তাকে পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ:  ০৯ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য পুলিশ সপ্তাহে ১১৮ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকালে রাজধানীর রাজারবাগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহ-২০২০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই পদক ও ব্যাজ পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ২০১৯ সালে পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১৪ পুলিশ সদস্যকে বিপিএম ও ২০ জনকে পিপিএম পদক দেয়া হয়। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ৫৬ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
পদকপ্রাপ্তরা হচ্ছেন : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) উপ-কমিশনার জামিল হাসান, উপ-কমিশনার শ্যামল কুমার মুখার্জী, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান, ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ, ডিবি দক্ষিণের উপ-কমিশনার রাজীব আল মাসুদ, ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আর এম ফয়জুর রহমান, ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আরিফুল ইসলাম, ডিবি পূর্ব বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আতিকুল ইসলাম, ডিএমপির মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, ডিএমপির গেন্ডারিয়া থানার ওসি সাজু মিয়া, ডিএমপির আরওআই কাইয়ুম শেখ, শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান, ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম, শ্যামপুর থানার এসআই সোহাগ চৌধুরী ও এএসআই মাসুম বিল্লাহ। এদিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মিশুক চাকমা, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এসএম নাজমুল হক, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহফুজা লিজা, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আহসান হাবীব, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার অহিদুজ্জামান নুর, সহকারী কমিশনার আতিকুর রহমান চৌধুরী, সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ, পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ, এসআই আশুতোষ শীল, এএসআই সোলাইমান হোসেন, নায়েক মোহাম্মদ রাসেল মিয়া ও কনস্টেবল সালমান হাজারী। অন্যদিকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ, র‌্যাব-২-এর পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, সদর দফতরের লে. কর্নেল মীর আসাদুল আলম, পরিচালক (গোয়েন্দা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব আলম, র‌্যাব-৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নূরুস সালেহীন ইউসুফ, র‌্যাব-১৫-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার মেজর শাহীন আজাদ, র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্সের উপ-পরিচালক মেজর এসএম সুদীপ্ত শাহীন, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার মেজর মনিরুল ইসলাম, মেজর মাহমুদ হাসান তারিক, র‌্যাব-৮-এর মেজর খান সজিবুল ইসলাম, র‌্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদ আহম্মেদ, র‌্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন ও সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্সের সার্জেন্ট শহীদুল ইসলাম ও র‌্যাব-১-এর সৈনিক রাকিব হোসেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি মহাবুবুর রহমান ভুইয়া, এআইজি এ এফ এম আনজুমান কালাম, এআইজি তামান্না ইয়াসমীন, এআইজি মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, এআইজি মিলন মাহমুদ, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুল হুদা আশরাফী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ রাজু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম, পরিদর্শক জিয়াউর রহমান ও এসআই সোহাগ মিয়া; পুলিশের বিশেষ শাখা-এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, বিশেষ পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, বিশেষ পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম মিয়া, পুলিশ পরিদর্শক কাওছার আহম্মেদ, পরিদর্শক ইউনুস আলী শেখ, এসআই মনিরুজ্জামান ও এএসআই মোহাম্মদ মোহন মিয়া; অপরদিকে পিবিআই-এর ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, পিবিআই ফেনী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পিবিআই গাজীপুর জেলার পরিদর্শক হাফিজুর রহমান ও পিবিআই ফেনী জেলার পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম; পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম, ১১ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান-এর অধিনায়ক শাহীন আমীন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ-জিএমপির উপ-কমিশনার কে এম আরিফুল হক ও জিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মনজুর রহমান, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আরিফুর রহমান মন্ডল, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন ফাহিম, গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান, এসএসএফ-এর এএসপি মিরাজুল ইসলাম, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা, বরিশাল হিজলা নৌপুলিশের পরিদর্শক বেলাল হোসেন, শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার ওসি মেহেদী হাসান, বাগেরহাটের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামের রাউজান থানার ওসি মোহাম্মদ কেপায়েত উল্লাহ, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপির পুলিশ পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম আব্দুর রহমান মুকুল, সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন, চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান, রংপুরের তাজহাট থানার এসআই মামুনুর রশীদ, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই আক্রাম হোসেন, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই ফিরোজ সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই ইসমাতারা, সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই ইয়াছিন আরাফাত, মানিকগঞ্জ সিংগাইর থানার এসআই আল মামুন, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই জুলহাজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ তাড়াইল থানার এসআই রাজীব আহম্মেদ, টাঙ্গাইল দেলদুয়ার থানার এসআই হারুন অর রশিদ, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই ওয়াদুদ আলী, ঢাকা জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই বিলায়েত হোসেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই মাইনুল ইসলাম, বগুড়া শেরপুর থানার এএসআই নান্নু মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিবির এএসআই বিকাশ চন্দ্র সরকার, বগুড়া ডিবির এএসআই রানা হামিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার এএসআই আনোয়ার হোসেন, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওন এএসআই মরহুম আক্তার হোসেন, ঝিনাইদহ জেলার এএসআই শরিফুল ইসলাম, নৌ পুলিশ ঢাকার কনস্টেবল জীবন সিকদার ও খাগড়াছড়ির মহালছড়ির-৬ এপিবিএন-এর কনস্টেবল ফয়সাল আহমেদ। প্রধানমন্ত্রীর অভিবাদন গ্রহণের মধ্য দিয়ে রবিবার শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২০। ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে পুলিশ সপ্তাহ পালন হচ্ছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে সারা দেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত দৃষ্টিনর্ন্দন প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। এরপর পুলিশ বাহিনীর সদস্যকে বিপিএম, পিপিএম ও আইজিপি পদক দেন। সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য পুলিশ সপ্তাহে চারটি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদকের (পিপিএম) জন্য তুলে দেন। এ ছাড়া প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ‘আইজিপিস এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’ প্রদান করেন। পুলিশবাহিনীর দৃষ্টিনন্দন ও সুশৃংখল প্যারেড মুগ্ধ করেছে বলেও অনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি। সূত্র : দৈনিক জনকণ্ঠ।