পেঁয়াজের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে


নিত্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছেই না। পেঁয়াজের লাগাম টেনে ধরতে পারছে না কেউ। বাজারে সরবরাহ কম এমন খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিক হারে মুনাফা করছেন। গত প্রায় দু’মাস ধরে দেশি ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের সঙ্কট চলছে বলে ব্যবসায়ীরা এখন স্মরণকালের সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি করছেন পেঁয়াজ।
সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও অস্থির পেঁয়াজের বাজার। ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠেছেন বেপরোয়া। তারা রীতিমতো মূল্য বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছেন। ধাপে ধাপে বাড়াচ্ছেন পেঁয়াজের মূল্য। এতে নাভিশ^াস উঠেছে সাধারণ মানুষের।
গতকাল ১৬ নভেম্বর শনিবার চাঁদপুর জেলার পেঁয়াজের প্রধান পাইকারী বাজার পুরাণবাজারে ২০০ টাকা থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ। স্থানীয় মসজিদ পট্টির সামছু মোল্লা, ফরিদ ট্রেডার্সসহ কয়েকটি পাইকারী আড়ত ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।
খুচরা বাজারে ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দামে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতারা জানিয়েছে। পেঁয়াজের ঝাঁজ কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
পুরাণবাজার মসজিদ পট্টির পেঁয়াজের বড় পাইকারী ব্যবসায়ী সামছু মোল্লা জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে তারা পেঁয়াজ এনে বিক্রি করেন। শনিবার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জেই বাজার দর ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। এখন বলেন আমরা বিক্রি করব কত?
একই সড়কের অপর ব্যবসায়ী জুয়েল এন্টারপ্রাইজের এমদাদ জানান, এখন বাজারে যেই পেঁয়াজ দেখছেন অধিকাংশই বার্মার পেঁয়াজ। বৃহস্পতিবার এক গাড়ি পেঁয়াজে প্রায় ৯ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। বার্মার পেঁয়াজের বস্তায় পচা পড়ছে।
আরেকজন ব্যবসায়ী মোস্তফা মোল্লা জানান, পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলা হলেও দেশে পেঁয়াজ আসছে না। আমদানির পেঁয়াজ আসলে অস্থির থাকা পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। ক্রেতা সাধারণের ভাষ্য, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর ৫০/৫৫ এবং ৬০/৬৫ টাকার মধ্যে ছিল পেঁয়াজের কেজি। কিন্তু মাসখানেকের মধ্য সেই পেঁয়াজ লাফিয়ে লাফিয়ে ১০০ টাকা থেকে ১২০/১৫০ এবং তা থেকে বেড়ে ২০০, ২১০-২২০ টাকা হয়েছে। এরপর এখন স্থান ভেদে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যেসব ব্যবসায়ীর কাছে পেঁয়াজ ছিল, তাদের কেনা কম দামের পেঁয়াজ দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা লালে লাল হয়ে গেছে। অধিক মুনাফা করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিয়েছেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের কাছে তারা এক ধরনের জিম্মি হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় বাজার ও মহল্লায় খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।