ধুঁকছে লাকসাম-নোয়াখালী-চাঁদপুর রেল রুট


বিভিন্ন সঙ্কটে ধুঁকছে কুমিল্লার লাকসাম-নোয়াখালী ও লাকসাম-চাঁদপুর রেল রুট। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রেল স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ট্রেন কমে যাওয়া। এই দুই রুটের স্টেশনগুলো এক সময় ট্রেন আর যাত্রীর উপস্থিতিতে সরগরম থাকলেও এখন তা যেন মৃত বাড়ি। লাকসাম-চাঁদপুর রুটে একসময় ১২টি ট্রেন চলাচল করতো। দুই বছর আগে দুটি এবং ছয় মাস আগে আরো দুটি ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। একই অবস্থা লাকসাম-নোয়াখালী রুটে। ১২টি ট্রেনের মধ্যে আটটি চলাচল করছে। সেগুলোও অধিকাংশ চলছে রাতের বেলা। এতে দিনে চলাচল করা যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। যাত্রী না থাকায় স্টেশন সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই দুটি রুটে গত এক যুগে নয়টি রেল স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এগুলোর প্লাটফর্মের মধ্যে এখন ধান মাড়াই ও গরু বাঁধার কাজ চলছে। কোথাও রেলওয়ের সম্পত্তি দখল হয়ে যাচ্ছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টেশনগুলো হচ্ছে : লাকসাম-নোয়াখালী রেল রুটের দৌলতগঞ্জ, খিলা, বিপুলাসার, বজরা ও মাইজদী। লাকসাম-চাঁদপুর রেল সড়কের : শাহতলী, মৈশাদী, বলাখাল ও শাহরাস্তি। এছাড়া আরো ৫/৬টি স্টেশন বন্ধ হওয়ার পথে। বন্ধ হওয়া ট্রেনগুলো হচ্ছে : লাকসাম-চাঁদপুর রুটে ড্যেমু কমিউডার দুইটি এবং চাঁদপুর-ভৈরব রুটে লোকাল দুটি। লাকসাম-নোয়াখালী রুটে ড্যেমু কমিউডার দুটি এবং নোয়াখালী-লাকসাম রুটে নোয়াখালী লোকাল ট্রেন দুটি ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে।
শাহরাস্তি এলাকার হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, এক সময় লাকসাম-চাঁদপুর রুটে মানুষ ট্রেনে বেশি চলাচল করতো। এখন ট্রেন কমে গেছে। শাহরাস্তির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন, সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, লাকসাম-নোয়াখালী ও লাকসাম-চাঁদপুর রেল রুটে আগে ১২টি করে ট্রেন চলাচল করতো। এখন আটটি করে ট্রেন চলাচল করছে। ইঞ্জিন ও বগি সঙ্কটে ট্রেন কমে গেছে। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।