বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন পারকাশ এ তথ্য জানান বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মনমোহন বাংলাদেশের জন্য এডিবির বর্ধিত উন্নয়ন কর্মসূচি শেখ হাসিনার সামনে তুলে ধরেন। এডিবি প্রতিনিধি ২০২০-২২ মেয়াদে নতুন কান্ট্রি বিজনেস প্লান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
“এই পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার দেবে এডিবি। ‘স্ট্যান্ডবাই’ হিসেবে আরও ৪৯০ কোটি ডলারের প্রকল্প পাইপলাইনে রয়েছে।”
প্রস্তুতির উপর ভিত্তি করে এসব প্রকল্পে অর্থায়ন করবে এডিবি। সরকারের সপ্তম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনা, এডিবি কৌশলপত্র ২০৩০ ও এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের সমান্তরাল চলবে কান্ট্রি বিজনেস প্লান।
তথ্য প্রযুক্তির উপর জোর দিয়ে দক্ষতা উন্নয়ন ও উচ্চস্তরের শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেবে এ অর্থায়ন। দক্ষিণ এশিয়া উপ আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (সাসেক) এবং এর বাইরেও আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সংহতি জোরদারের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দেবে।
ঋণ পাওয়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করে এবং স্থানীয় মুদ্রায় বন্ড বাজার উন্নয়নের মাধ্যমে এ পরিকল্পনা বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াবে।
এর আওতায় বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে- ঢাকা-সিলেট সড়ক, জয়দেবপুর-এলেঙ্গা-রংপুর-বুড়িমারী-বাংলাবান্ধা সড়ক, ফরিদপুর-বরিশাল সড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের ডুয়াল গেজিং, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন, ঢাকা এমআরটি লাইন ৫ (গাবতলী-পান্থপথ-আফতাবনগর) ), কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা প্রকল্প, কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং উচ্চ স্তরের শিক্ষা প্রকল্প, ঢাকা নর্দমা ব্যবস্থা ও পানি সরবরাহ প্রকল্প এবং খুলনা নর্দমা ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প।
এছাড়া রাজস্ব প্রশাসনের স্বয়ংক্রিয়করণ, বন্ড বাজার উন্নয়ন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং সেচ, গ্রামীণ সংযোগ এবং বিদ্যুতায়ন উন্নয়নের প্রকল্পও এতে আছে।