পিএস টার্ণ ও মাসুদ বিকল হয়ে চাঁদপুর ঘাটে ॥ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করর্পোরেশন বিআইডাব্লিউটিসি’র পিএস মাসুদ ও পিএস টার্ণ নামে দু’টি রকেট ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত রাবার ডিস্ক লারনার ও পাখার পাতা বিকল হয়ে চাঁদপুর রকেট ঘাটে পড়ে আছে। এর মধ্যে পিএস টার্ণ শনিবার দিবাগত রাত ১১টায় এবং পিএস মাসুদ গত ২৪ দিন বিকল হয়। পিএস টার্ণের যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে গন্তব্য না যেতে পরে খুবই দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। প্রায় ২ শতাধিক যাত্রী এখন চাঁদপুর রকেট ঘাটে দুভোর্গ পোহাচ্ছে।
রোববার ১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় চাঁদপুর শহরের পুরাতন লঞ্চঘাটের পশ্চিম পাশে রকেট স্টীমার ঘাটে দেখা গেছে পিএস মাসুদ ঘাটের জেটির সাথে বাঁধা এবং তার পাশেই ডাকাতিয়া নদীর মাঝ বরাবর বাঁধা রয়েছে পিএস টার্ণ।
স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকা সদরঘাট থেকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পিএস টার্ণে বাঘেরহাট যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন মোঃ শাহজাহান। তিনি বলেন, রকেটটি চাঁদপুর ঘাটে যাত্রী নামিয়ে পুনরায় ছাড়ার জন্যে প্রস্তুতি নিলে বিকল হয়ে পড়ে।
বরিশালের আরেক যাত্রী শামছুল হক বলেন, তিনি স্ত্রীকে নিয়ে রকেটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে উঠেছেন। রকেট বিকল হওয়ার পরে খুবই সমস্যার মধ্যে আছি। এখন পর্যন্ত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কোন রকেট কিংবা লঞ্চ পাইনি। রোববার রাতে লঞ্চ পাওয়া গেলে হয়ত যাওয়া যাবে।
রকেট ঘাটের জ¦ালানি ব্যবসায়ী হাজী বিল্লাল মিয়াজী বলেন, গত প্রায় ১ মাস বিকল হয়ে ঘাটে পড়ে আছে পিএস মাসুদ এবং পিএস টার্ণ গতকাল রাতে বিকল হওয়ার পর থেকে কিছু যাত্রী নেমে অন্য রূটে গেলেও এখন পর্যন্ত অসংখ্য যাত্রী খুবই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি)’র চাঁদপুর রকেট ঘাটের সহকারী ম্যানেজার মো. মনির হোসেন বলেন, গত ২৪ দিন পূর্বে পিএস মাসুদ ইঞ্জিনের সাথে পাখার সংযোগ দেয়া রাবার ডিস্ক লারনার নষ্ট হয়ে যায়। পরে এটি মেরামতের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এটি মেরামত খুবই সুক্ষ্ম কাজ। তাই আরো ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে।
তিনি আরো বলেন, পিএস টার্ণ শনিবার রাতে চাঁদপুরঘাটে যাত্রী নামিয়ে পুনরায় ছাড়ার সময় পাখার ৪টি পাতা বাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণে ইঞ্জিনে বিকট শব্দ হতে থাকে। বাঁকা পাতা যেদিকে ঘুরার কথা সেদিকে না ঘুরে উল্টো ঘুরার কারণে ইঞ্জিন চালানো সম্ভব হয়নি। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।