• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রেলে দুর্নীতির ১০ উৎস চিহ্নিত করেছে দুদক

প্রকাশ:  ০২ জুলাই ২০১৯, ২২:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কোচ-ইঞ্জিন ক্রয়ে দুর্নীতিসহ ১০ উৎস চিহ্নিত করে রেলের দুর্নীতি বন্ধে ১৫ দফা সুপারিশসহ প্রতিবেদন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের কাছে হস্তান্তর করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।মঙ্গলবার দুদকের কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান কমিশনের পক্ষে দুর্নীতি প্রতিরোধে গঠিত ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে এর দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক টিমের’ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেলওয়ের জায়গা মনিটরিংয়ের অভাবে শত শত জমি বেদখল হয়ে আছে। এছাড়া রেলের জায়গায় রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই অবৈধভাবে দখল করে বাসা বাড়ি নির্মাণ করেছেন।প্রতিবেদনে দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে আরও বলা হয়েছে, রেলের ডাবল লাইন, সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি সংগঠিত হয়ে থাকে। এছাড়া রেলের টিকিট কালোবাজারে বিক্রির ক্ষেত্রে রেলওয়ের কর্মচারীরা জড়িত বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।প্রতিবেদনে দুর্নীতি প্রতিরোধে রেলের লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে আইবিএ-বুয়েটের মতো জনবল নিয়োগে বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিতে বলেছে দুদক।কোচ আমদানি নিরুৎসাহিত করে রেলের নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে কোচ নির্মাণে সক্ষমতা সৃষ্টির সুপারিশ করা হয়েছে।রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটি ১৩তম প্রতিবেদন জানিয়ে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, এই প্রতিবেদনে দুর্নীতির ১০টি উৎস চিহ্নিত করে তা নিরসনে ১৫টি সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়েছে।