• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর-লাকসাম রূটে ডেম্যু ট্রেন চলাচল বন্ধ ॥ যাত্রীদের দুর্ভোগ

প্রকাশ:  ২৩ জুন ২০১৯, ০৯:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর-লাকসাম রুটে চলাচলকারী একমাত্র লোকাল ট্রেন ডেম্যু ট্রেনটি বন্ধ রয়েছে। পুরো রমজান মাস এমনকি ঈদের সময়ও ট্রেনটি চলাচল বন্ধ ছিলো। এতে করে এ রূটে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী, শাহতলী, মধুরোড ছাড়াও হাজীগঞ্জ, বলাখাল, শাহরাস্তি, ওয়ারুক, মেহের ও চিতোষী স্টেশন থেকে যে হাজার হাজার যাত্রী এ ট্রেনে যাতায়াত করতো, তারা চরম বিপাকে পড়েছে।
লাকসাম থেকে ডেম্যু ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াতকারী চিতোষীর বাসিন্দা মোবারক আলী বলেন, অনেক দিন স্টেশনে গিয়ে ডেম্যুর অপেক্ষায় ছিলাম। পরে জানলাম ডেম্যু বন্ধ হয়ে গেছে। আমার মতো হাজার হাজার যাত্রী ট্রেন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে।
রেলওয়ের চাঁদপুর বড় স্টেশন মাস্টার মোঃ জাফর আলম জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ডেম্যু ট্রেনটি লাকসাম থেকেই বন্ধ আছে। ঈদের আগে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর ঈদের পর ১০ জুন একদিন লাকসাম থেকে চাঁদপুর এসে ফিরতি যাবার পর আর আসছে না। রেলওয়ের ওয়ার্কশপে ডেম্যু ট্রেনটি মেরামতের জন্যে আছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে কবে নাগাদ এ রূটে ডেম্যু চালু হবে তা  নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি রেলের এ কর্মকর্তা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ডেম্যু ট্রেন চীন থেকে আমদানির সময় ৫ বছরের ওয়ারেন্টি দেয়া হয়। তারপরও প্রায় ৭ বছর চলেছে ট্রেনটি চাঁদপুর-লাকসাম রূটে। এখন ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে ট্রেনটি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রেলপথ কুমিল্লা সেকশনের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী জানান, শুধু চাঁদপুর নয়, নোয়াখালীতেও ডেম্যু চলাচল বন্ধ আছে। মেরামতের জন্যে চিটাগাং ওয়ার্কশপে পাঠানো হয়েছে, ঠিক হলে আবার চলবে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা, লাকসাম ও চাঁদপুর রূটের অভ্যন্তরে একটি ডেম্যু ট্রেন চালু করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। চালুর পর থেকে এ ট্রেনটি যাত্রীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কুমিল্লা থেকে লাকসাম, লাকসাম থেকে চাঁদপুর হয়ে  প্রতিদিন দু’বার ডেম্যু ট্রেন আপডাউন করত। বিপুল সংখ্যক যাত্রী যাতায়াতের সুবিধা হতো। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এখন এটি বন্ধ থাকায়  স্থানীয় রেল যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ডেম্যু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাঁদপুর রেলওয়ে রূটে লোকাল ট্রেন বলতে এখন আর কিছুই রইল না।