ফরিদগঞ্জে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলছে কোটি টাকার সড়ক সংস্কার
নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে ফরিদগঞ্জ-কাটাখালী ৩ কিঃ মিঃ রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় ওই রাস্তার নি¤œমানের কাজ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এটি সংস্কারের জন্যে সরকারের রাজস্ব থেকে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। রাস্তাটি সংস্কারের নামে সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছে।
সরেজমিনে গেলে প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মোঃ খলিলুর রহমান, আব্দুল মান্নান, মাসুদ আলম, নেছার আহাম্মদ, আলমগীর মোল্লা, আব্বাছ উদ্দিন জানান, রাস্তাটিতে মানসম্মত কাজ করা হচ্ছে না। সিডিউল মোতাবেক কাজ করার কথা থাকলেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এখানে তা উপেক্ষিত হচ্ছে। বালি ৬ ইঞ্চি দেয়ার নিয়ম থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ২/৩ ইঞ্চি, ৩ ইঞ্চি মেকাডম করার কথা থাকলেও ১ থেকে দেড় সর্বোচ্চ ২ ইঞ্চি দেয়া হচ্ছে। সড়কের দুপাশ ১ ফুট করে সম্প্রসারণের কথা থাকলেও তা সঠিক পরিমাণে প্রশস্ত করা হচ্ছে না। ১নং ইট ব্যবহারের নিয়মটিও মানা হয়নি। পূর্বে ব্যবহৃত রাস্তার উপরের পিচ অংশও পুনরায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আবার সড়কটির জীর্ণ দশায় পতিত হবে। প্রতিদিনই কাজের অনিয়মের বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ রামপুর-কাটাখালী রাস্তা সংস্কারের জন্যে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কাজের সাব-কন্ট্রাক্টর রৌশন আলী জানান, সড়ক মেরামতের জন্যে আমি মেইন কন্ট্রাক্টরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। তবে মালামাল ঠিকাদার সরবরাহ করছে।
সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার জিএম কাদের হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। নি¤œ মানের ওই কাজের অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে জিএম কাদের তার দলের ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সাংবাদিকদের জানান, এই কাজের বিরুদ্ধে কোনো সাংবাদিক অনিয়মের প্রশ্ন তোলেনি। আপনারা কোথায় পেলেন অনিয়ম। ‘পুরানো কাজের পিচ কংক্রিট পুনরায় ব্যবহার করছেন কেন’ এমন প্রশ্নে জানান, অফিস বলেছে, তাই ব্যবহার করছি।
উপজেলা প্রকৌশলী ড. মোঃ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার গতকাল বুধবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, ফরিদগঞ্জ- কাটাখালী রাস্তা সংস্কার কাজের মান রক্ষায় আমরা সচেষ্ট আছি। ওই রাস্তা সংস্কারের অন্যান্য দিকগুলোও সঠিক নিয়ম মেনে কাজের গুণগতমান রক্ষা করেই সিডিউল মোতাবেক আদায় করা হবে।