ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে চাঁদপুরে বৃষ্টি উত্তাল চরাঞ্চল, প্রস্তুত ১৪৫০ আশ্রয়কেন্দ্র
তেড়ে আসছে ‘ফণী’। প্রস্তুত চাঁদপুরের আট উপজেলা। চাঁদপুরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে আকাশে সূর্যের দেখা দিলেও আকাশে জমে আছে খন্ড খন্ড মেঘ। সকালে সাড়ে নয়টায় প্রবল বৃষ্টিপাত হয়ে গেছে। এখনো আকাশে জমে আছে মেঘ সাথে রয়েছে মৃদু বাতাস। ঘূর্ণিঝড় ফনীর প্রভাবে চাঁদপুর হাইমচর উপজেলা চরাঞ্চলগুলোতে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণে উত্তাল হয়ে উঠেছে।
নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অনেক বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।মাছ ধরার ট্রলার ও বিভিন্ন নৌ যান নিরাপদ স্থানে এসে অবস্থান করতে দেখা যায়। অতি বৃস্টির ফলে কৃষি জমিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
জেলা প্রশাসক মো: মাজেদুর রহমান খান জরুরী সভা ডেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা এবং ত্রাণ বিভাগের সকল কর্মচারীদের ছুটি বাতিলসহ চাঁদপুরে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে নির্দ্দেশ প্রদান করেছেন। ৩১১ টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক,কলেজ ও মাদ্রাসা ভবনসমূহ ১৪৫০টি আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ক্ষতির আশঙ্কায় চাঁদপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জ রূটের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডাব্লিউ কর্তৃপক্ষ। বিআইডাব্লিউটিএ’র চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন বৃহস্পতিবার থেকে এ রুটে সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির আশঙ্কায় আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সারাদেশের লঞ্চ ও নৌ-যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চসহ সকল নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকবে।